শিরোনাম
◈ বুটেক্সকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ◈ স্বর্ণের দাম কমলো ◈ হলমার্ক কেলেঙ্কারির রায় ঘোষণার সময় পালিয়ে গেলেন জামাল উদ্দিন সরকার ◈ ২৯ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ বাস্তব বিবর্জিত: দোকান মালিক সমিতি ◈ তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদিকে বাড়ি ছাড়তে হবে: হাইকোর্ট  ◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের 

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাতিঘর মাশুল ফাঁকিতে পাঁচগুণ বেশি জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

আনিস তপন : কোনো জাহাজ বাতিঘর মাশুল অথবা অন্য খরচের অর্থ পরিশোধ না করলে, ফাঁকি দিলে বা চেষ্টা করলে, অভিযুক্ত জাহাজকে যে বন্দরে পাওয়া যাবে সেই বন্দরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদেয় করের পাঁচগুণ জরিমানা আদায় করবেন- এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। যা সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অনুমোদন পেতে পারে।

আইনটির খসড়ায় মাশুল আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো জাহাজ বাতিঘরের মাশুল বা অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কাস্টমস কমিশনার অথবা প্রধান কর্মকর্তা ওই জাহাজ আটক রাখতে পারবেন। পাশাপাশি পাওনা আদায়ে জাহাজ এবং জব্দ করা দ্রব্য নিলামে বিক্রি করতে পারবেন। তাছাড়া বাতিঘর মাশুল, অন্যান্য খরচের অর্থ ও জরিমানার টাকা এবং সন্তোষজনক জামানত না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত জাহাজের বন্দর ছাড়পত্র আটক রাখতে পারবেন।’
‘বন্দরে আসা-যাওয়া ও এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের নিমিত্তে জাহাজগুলোকে দিক-নির্দেশনাসহ বাতিঘরের সেবা দিতে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব জাহাজ থেকে বাতিঘরের মাশুল নির্ধারণ করে তা আদায় করতে পারবেন। তবে একটি জাহাজকে বাতিঘর মাশুল পরিশোধের পর ৩০ দিনের মধ্যে পুনরায় আবার মাশুল দিতে হবে না।’
‘টনেজের ভিত্তিতে বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ করা হবে এবং জাহাজের মালিক বা মাস্টার নিবন্ধন সনদ আছে অথচ নিবন্ধন সনদ ও টনেজ সংক্রান্ত দলিল প্রদর্শন করতে অস্বীকার অথবা অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরেজমিন জাহাজ পরিদর্শন করে টনেজ নির্ধারণ করবেন। টনেজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো জাহাজ অভিযুক্ত হলে ওই জাহাজকে অনুর্ধ্ব এক হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা যাবে’- এটাও বলা হয়েছে আইনের খসড়ায়।

খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন অথবা নৌ-বাহিনী অথবা কোস্টগার্ডের জাহাজ যা ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্যে মালামাল অথবা যাত্রী পরিবহন করে না, ১০ টনের নিচের যেকোনো জাহাজ অথবা সরকারি গেজেটের মাধ্যমে, সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে অব্যাহতি পাওয়া অন্য যেকোনো শ্রেণীর জাহাজ বাতিঘরের মাশুল থেকে অব্যহতি পাবে’।
এ সম্পর্কে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান ‘লাইটহাউস এ্যাক্ট, ১৯২৭’ কে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়