শিরোনাম
◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০১:৪৯ রাত
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০১:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাথা ঠাণ্ডা রেখে পদত্যাগ করুন, প্রধানমন্ত্রীকে ড. কামাল হোসেন

শাহানুজ্জামান টিটু : ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।বিকাল সোয়া ৫টায় প্রেসক্লাব থেকে শোক র‌্যালি বের হয়ে কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশের সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। এ সময় নেতাকর্মীদের পুলিশকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে দেখা যায় ‘বাধা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, আবরারের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’।

ফ্রন্টের অন্যতম নেতা জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব পুলিশ বাধা দেয়ায় ২২ অক্টোবর প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন। এছাড়া ১৮ অক্টোবর রয়েছে নাগরিক শোকসভা।

শোক র‌্যালিতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেএসডির প্রেসিডিয়াম সদস্য তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান ড. নূরুল আমিন বেপারী, বিএনপির শ্যামা ওবায়েদ, কাজী বাসার প্রমুখ অংশ নেন। সভায় নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা, কালো পতাকা ও নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে আবরারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সময় থাকতে মাথা ঠাণ্ডা করে পদত্যাগ করুন। আপনারা যেগুলো করছেন, এসব করে বার বার পার পাওয়া যাবে না।’

‘গত ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কি কোনো নির্বাচন হয়েছিল? আপনি যে ৩০ তারিখে বললেন, আমাকে তৃতীয়বার নির্বাচিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। কে আপনার ধন্যবাদ গ্রহণ করবে? আমি সাক্ষ্য দেবো, তৃতীয়বার আপনাকে কেউ নির্বাচিত করেনি। আপনি নাটক করেছেন, আপনিতো নাট্যকার কোনো নেত্রী না। আপনি নিজের মিথ্যার শিকার হয়েছেন। এতে ভয়াবহ পরিণতি হয়।’

কুষ্টিয়ায় আবরারের বাড়িতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাদের বাধা দেয়ার প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, ‘যারা এই বাধা দিচ্ছে, সবাই তাদের তালিকা করে রাখেন। এসব সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দানকারীদের কড়া শাস্তি হবে।’

আসম আবদুর রব বলেন, হাসিনা রক্ত ও লাশ চান।তাকে বিদায় নিতে হবে।সরকার ভীত হয়ে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। সমাবেশে কোনো বাধা মানা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি কখনো ভারত বিরোধী আন্দোলন করেনি। তবে বাংলাদেশে স্বার্থ বিরোধী হলে বিএনপি তার প্রতিবাদ করবে।

নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজ্যত্ব চলছে। ঐক্যফ্রন্ট আছে। আর ঐক্যফ্রন্ট থাকবে। আজকে আমরা আন্দোলনের যাত্রা শুরু করতে এসেছি। কিন্তু তার আগেই সরকার ভয় পাচ্ছে।’

এক বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনে অভাবনীয় পরাজয়ে ফ্রন্টের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। আর দলের মধ্যে কঠোর সমালোচনায় পড়েন ফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এক পর্যায়ে ফ্রন্টের কর্মকাণ্ড গতি হারায়। ফ্রন্ট ছেড়ে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী। ফ্রন্টের বছরপূর্তি ১৩ অক্টোবর ঘিরে আবারো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টায় এই কর্মসূচি দেয় জোটটি।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়/সারোয়ার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়