মো. তৌহিদ এলাহী : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল গ্রামের এই হাওরকে শাপলা ফুলের হাওরও বলা হয়। কোনো রকমের চাষাবাদ ছাড়াই এখানে শাপলা ফুলের সমাহার, যা দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। এ হাওরে ফোটা শাপলা ফুল যে কারো মন ভালো করে দিতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে তা পর্যটকদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। সময়ের আলো
সরজমিনে দেখা যায়, ওই হাওরের প্রায় এক হাজার একর জায়গা নিয়ে শাপলা ফুলের বাহার। পানির মধ্যে লাল শাপলা আর অনতিদূরের মেঘালয়ের পাহাড়, যেন প্রকৃতির এক নয়নাভিরাম ছবি। হাওরে ৬ মাস পানি থাকায় এ সৌন্দর্য উপভোগ করার সময়টাও ৬ মাস। এরপর সেখানে চাষ হয় বোরো ধান। সূর্যের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে শাপলা তার আপন সৌন্দর্যকে গুটিয়ে নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিথর হয় ক্লান্তি নিয়ে ঘুমাতে শুরু করে। সূর্যোদয় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাপলার সৌন্দর্য দৃশ্যমান থাকে। কোনো প্রকার চাষ ছাড়াই জন্মেছে শাপলা। গোটা এলাকা জুড়ে এখন লাল শাপলার অপরূপ দৃশ্য। বর্ষার শুরুতে শাপলা জন্ম হলেও হেমন্তের শিশির ভেজা রোদ মাখা সকালের জলাশয়ে চোখ পড়লে রঙ-বেরঙয়ের শাপলার বাহারী রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সোহানুর রহমান জানালেন, প্রচারের অভাবে এমন সুন্দর্য দেখতে পর্যটকরা আসতে পারছেন না। একদিকে মেঘালয়ের পাহাড়, অন্যদিকে টাঙ্গুয়ার হাওর। যারা টাঙ্গুয়ার হাওর বা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে আসেন, তারা এই লাল শাপলার বিলে একবার ঘুরে যান। এখানে ১৫/১৬ বছর ধরে লাল শাপলা ফুটছে। তবে কেউ এর খবর জানে না। দেশের অন্যান্য শাপলার বিল থেকে এখানে সবচেয়ে বেশি লাল শাপলা দেখা যায়। সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সুনামগঞ্জ এর সহসভাপতি খলিল রহমান শাপলা বিলে ঘুরতে এসে জানান, আমরা আগে জানতাম না এখানে এতো সুন্দর শাপলার বিল আছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর নিলাদ্রী লেক এসব সুন্দর জায়গার মধ্যে লাল শাপলার বিলটা নতুন করে যুক্ত হলো।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগ উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জের প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের নির্বিগ্নে চলাচল করতে রাস্তা এবং আবাসন ব্যবস্থার জন্য জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
টিএইচ/এমআই