শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একদিন আগেই আবরারকে নির্যাতনের নির্দেশ দেয়া হয়

মাজহারুল ইসলাম : হত্যার এক দিন আগে গত শনিবার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ১৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আবরার ফাহাদকে মেরে শেরেবাংলা হলের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন। বুয়েট ও শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফেসবুকের মেসেঞ্জার ‘এসবিএইচএসএল ১৫+১৬’ নামক গ্রুপে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে এই নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলা ট্রিবিউন
জানা যায়, গ্রুপটি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেরেবাংলা হলের ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো।

ওই ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথোপকথন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মেহেদী হাসান রবিন লেখে, ‘১৭-এর আবরার ফাহাদ; মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত @১৬; এর আগেও বলছিলাম; তোদের তো দেখি কোনও বিগারই নাই; শিবির চেক দিতে বলছিলাম; দুই দিন সময় দিলাম।’ রবিন মেসেঞ্জার গ্রুপে আরও লেখে, ‘দরকারে ১৬ ব্যাচের মনিরের সঙ্গে কথা বলিস। ও আরও কিছু ইনফো দিবে শিবির ইনভলমেন্টের ব্যাপারে।’ এরপর ‘ওকে ভাই’ জবাব দেয় ১৬তম ব্যাচের মনিরুজ্জামান মনির। নির্দেশের পরদিন রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে মনির গ্রুপে লেখে, ‘নিচে নাম সবাই’। এরপরই রাত ৮টা ১৩ মিনিটে আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় তানিম, বিল্লাহ, অভি, সাইফুল, রবিন, জিওন ও অনিক। রাত ১২টা ৩৮ মিনিটে ‘এসবিএইচএসএল ১৬+১৭’ গ্রুপে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা লেখে, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আছে’। জবাবে শামসুল ও সজীব জানায়, ‘২০১১তে আছে।’ জানা গেছে ২০১১ নম্বর কক্ষে অমিত সাহা থাকে।

মেসেঞ্জারে অন্য আরেকটি কথোপকথন পাওয়া গেছে, যা ছিল অমিত সাহা ও ইফতি মোশাররফ সকালের মধ্যে। এতে অমিত সাহা লিখেছে, ‘আবরার ফাহাদরে ধরছিলি তরা?’। ইফতি জবাব দেয়, ‘হ’। আবার প্রশ্ন করে অমিত, ‘বের করছোস?’ জবাবে ইফতি পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘কি হল থেকে নাকি স্বীকারোক্তি’। এবার অমিত লেখে, ‘স্বীকার করলে তো বের করা উচিত।’ এরপর ইফতি জবাব দেয়, ‘মরে যাচ্ছে; মাইর বেশি হয়ে গেছে’। জবাবে অমিত সাহা লেখে, ‘ওওও বাট তাকে তো লিগ্যালি বের করা যায়।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথনের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তারা অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।’ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমরা সব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। কথোপকথনের বিষয়টিও যাচাই-বাছাই চলছে।’ সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়