শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারও ঘর পোড়ে, কেউ আলু পোড়া খায়

আশরাফুল আলম খোকন : একটা তরতাজা মেধাবী ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এখনো একজনকেও পাইনি যারা এই হত্যাকা-ের পক্ষে কথা বলেছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সবাই ব্যথিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই সবার দাবি। ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে, আসামিরা অধিকাংশ গ্রেপ্তার হয়েছে, রিমান্ডেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যাকারীরা নিজ দলের হলেও সরকার কিংবা ছাত্রলীগ কেউই বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। ২০০২ ছাত্রদলের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যা মামলার আসামিরা এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুনিদের একজন ছাত্রদলের গত কমিটিতেও সহসভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল এই বুয়েট ক্যাম্পাসে আরিফ রায়হান দ্বীপকে কুপিয়ে যারা হত্যা করেছিলো তারা এই বুয়েটেরই ছাত্র। কারণ দ্বীপ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়েছিলো। তখন কিন্তু আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়নি, এখন হয়েছে। তখন হয়নি বলে এখন হবে না এমন কোনো কথা নেই। ‘বেটার লেট দ্যান নেভার।’ তবে তখন আমাদের বিবেক জাগ্রত হলে হয়তো মৃত্যুর মিছিলটা বড় হতো না। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটা যৌক্তিক। তারা ক্যাম্পাসের মধ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকর আন্দোলন করছেন। তারা হত্যার বিচার চাইছেন এবং এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য ৬ দফা দাবি দিয়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজছেন। কিন্তু এই আন্দোলনের মধ্যে বসে কেউ কেউ আলুপোড়া খাওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই যে কথায় আছে না, ‘কারও ঘর পোড়ে, আর কেউ কেউ সেই আগুনে আলু পুড়িয়ে খায়’। এই গ্রুপটিই হচ্ছে যতো নষ্টের মূল।

তারা সবসময় সুযোগই খুঁজে আন্দোলনের মধ্যে তাদের দলীয় ও নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। এভাবে এজেন্ডা নিয়ে ঢুকে তারা সার্বজনীন কোটা আন্দোলন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবহন আন্দোলন নষ্ট করেছে। দেখলাম ব্যানারে লেখা, ‘আবরারদের মৃত্যু নাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’ আন্দোলনগুলোর প্রথম সারিতে এনজিও- অ্যাম্বাসিপন্থী ও শিবিরের পরিচিত মুখগুলোও দেখা যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। এই কুচক্রী মহলের উপস্থিতি দেখে আন্দোলনের অনেক পরিচিতমুখ ইতোমধ্যে এই আন্দোলন থেকে বেরিয়ে এসেছে। তারা কিন্তু হত্যার বিচার চাচ্ছেন না, তারা বারবার বলার চেষ্টা করছেন যে ‘ভিন্নমতে’র কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিডিয়ার কিছু লোকজনও টকশোতে সমস্বরে বলছেন ভিন্নমতের কথা। হিসাবটা খুব সহজ। শুধু ভিন্নমতের কারণেই যদি হত্যাকা- ঘটে, তাহলে আপনারা দিনের পর দিন ষাঁড়ের মােত চিৎকার করছেন কিভাবে? এখনই’বা মিডিয়াতে এসব বলছেন কিভাবে? সরকার যদি ভিন্নমতের টুঁটি চেপে ধরতোই তাহলে কি অকথ্য ভাষায় আপনারা এসব গালিগালাজ করতে পারতেন? একটা নিষ্ঠুর হত্যাকা-ের মধ্যে আপনাদের এজেন্ডা না ঢুকিয়ে বিচার চান। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এলে এই আন্দোলনটিও অন্যগুলোর মতো নষ্ট হয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়