শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৫ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশে সম্রাটের সম্পদের খোঁজখবর করছেন গোয়েন্দারা

খালিদ আহমেদ:  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তার খোঁজখবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া তার দুই সহযোগী যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা এনামুল হক আরমান ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিদেশে কোনো সম্পদ আছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমকাল

এদিকে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সম্রাটের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তবে আরও ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয়েছে তাকে। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলায় তার রিমান্ড শুনানি পেছানো হয়েছে। কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টার ভবন ছিলো সম্রাটের প্রধান আস্তানা। প্রথমে সেখানে তার একটিমাত্র কক্ষ থাকলেও পরে পুরো ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। ক্যাসিনো ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন খাত থেকে মাসে কোটি কোটি টাকা আসতো সম্রাটের কাছে। এসব টাকার বেশিরভাগই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তার সহযোগী আরমান ও খালেদও অঢেল সম্পদের মালিক বনেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তারাও বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন কি-না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অবশ্য সম্রাট গ্রেপ্তারের পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সম্রাট ক্যাসিনো থেকে যা আয় করতো, তা কর্মী ও জুয়ার পেছনে খরচ করেছে। বিদেশেও সে যায় ক্যাসিনো খেলতে। সম্পদ গড়ার নেশা তার নেই।

চলমান ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রথমে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার পরই সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। তিনিও গ্রেপ্তার হতে পারেন- এমন গুঞ্জন শুরু হয় ওই দু'জন গ্রেপ্তারের পরপরই। খালেদ যেদিন গ্রেপ্তার হয়, সেদিন রাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে নিজ অফিসে অবস্থান করেন সম্রাট। সেখান থেকে আত্মগোপনে চলে যান। গত রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্রাট ও তার অন্যতম সহযোগী এনামুল হক আরমানকে। গ্রেপ্তারের পর যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয় তাদের। অবৈধভাবে ক্যাঙারুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য সম্রাটকে ছয় মাস ও মাদক সেবন করার অপরাধে আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই তাদের কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বুকে ব্যথা দাবি করায় গত মঙ্গলবার সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাকে ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয়। বুধবার তাকে আরও ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল থেকে।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৭টায় আবারও সম্রাটের এক্স-রেসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সব রিপোর্টই ভালো এসেছে। হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মহসিন আহমেদ বলেন, অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিটের কারণে সম্রাটকে আরও ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে। তার শরীরের বর্তমান অবস্থা ভালো। তাকে বিদেশে নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি ভালো আছেন।

কেএ/এসবি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়