শওকত আলী তারা : আসুন আমরা বরং এখন আলোচনা করি-যে ১২জন আরবারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের মার্ডার কেসটা কী করে বাতাসে উড়ন্ত তুলার মতো হাল্কা করা যায়, কীভাবে তাদের জন্য ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’-র মতো একটা রায় বের করা যায়। কীভাবে অইনি লড়াইটা অন্তত ২৫ বছরের জন্য ঝুলিয়ে দেয়া যায়! এখানে রাজসাক্ষীর মতো সামনে আসবে মহান হলো প্রাধ্যক্ষ, প্রোক্টর আর প্রাণপ্রিয় ভিসি! তারা তো কিছুই জানেন না, কিচ্ছু দেখেন নাই, শুধু শুনেছেন ঘটনার কথা।
তারা এর সত্যতা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতেই পারবেন না। হতে পারে অগেই বাইরে থেকে পিটিয়ে তাকে হলে রেখে গেছে কেউ। এরপরে আসবে হলের সাধারণ ছাত্রদের সাক্ষ্য কথা। সেরাম একটা জানের ভয় সেখানে কে আবার নতুন আবরার হতে চাইবে? তারা কেন মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে? মাইর হইছে কিন্তু সাউন্ড হয় নাই। মুখের ভেতর কাপড় গুঁইজা দিয়া পেটানোর কারণে তারা কোনো গোঙানির আওয়াজও শুনেন নাই। এরপরে আসবে সেদিন বার্সেলোনার খেলা ছিলো। রাত ১টার পরে টিভিরুমের যারা দর্শক ছিলো তারা সাক্ষ্য দেবে এমন হতেই পারে না। ইটস ইম্পসিবল। আপনারা যাদের অভিযুক্ত করেছেন তারা সবাই আমাদের সাথে খেলা দেখেছে। আমরা সবাই আনন্দঘন পরিবেশে খেলা উপভোগ করেছি। তাদের কারও চোখে-মুখে কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই (এর পরের যুক্তিগুলো আপনারা একে একে যোগ করে নিন, যেসব উকিল খুনিদের পক্ষে লড়বে তাদের অবশ্যই কাজে লাগবে)। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :