শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ০৩:৪৬ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ০৩:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রলীগ আ’লীগের অঙ্গসংগঠন নয়, ভ্রাতৃপ্রতীম বললেন ড. হাছান মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্রলীগ আমাদের অঙ্গসংগঠন নয়, ভ্রাতৃপ্রতীম। তবে কোনো রকম সহিংসতা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপ উপস্থাপন করতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলানিউজ

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জামায়াত শিবিরের সংশ্লিষ্টতা ছিল।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয়, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন। ছাত্রলীগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগ বৃহৎ একটি সংগঠন। তাই এখানে বিভিন্ন সময় বিভন্ন অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করে। অতীতে জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘঠনা আমরা দেখেছি, সেখানে যারা ছাত্রলীগের ব্যানারে ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল পরে তাদের আসল পরিচয় পাওয়া গেছে।
এসময় তিনি ছাত্রলীগকে এসকল অনুপ্রবেশকারীর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা দাবি করেন, সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহন করলেও আওয়ামী লীগই জয়ী হতো। তারা জানিয়েছে নির্বাচনে ৪২ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ৩৫ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে ভোট দিতেন। আমরা মনে করি বিএনপির কাছেও সে ধরনের একটি জরিপ ছিল যার জন্য তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

জরিপের বরাত দিয়ে তিনি আরো দাবি করেন, দেশের মানুষের কাছে এখনো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক জনপ্রিয়।

প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংস্থাটি নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবে। কিন্তু তারা তা করেনি। আমরা এর আগেও দেখেছি বিএনপি নেত্রী সোহরওয়ার্দী উদ্দ্যানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দেবার পরেও তারা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে বলবো নিজের ভুল স্বীকার করে সংশোধনের পথে আসেন। আমার চাই বিএনপি দেশের শক্তিশালি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে টিক থাকুক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়