জান্নাতুল পান্না : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে বালিশ কিনতে লাগে ১৪ হাজার টাকা, আর বালিশের কভার কিনতে লাগে ৭ হাজার টাকা। তার মানে আমরা উন্নয়ন করেছি দুর্নীতিতে।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ (এনসিডিডব্লিউ) আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন, বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুলতানা কামাল বলেন, যদিও দেশে ক্যাসিনোর শুদ্ধি অভিযান চলছে। তবে অন্যদিকে ক্ষমতার দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলছি। মানুষকে হয়রানি করছি। শেয়ারবাজার লুট করছি। এগুলো নিয়ে আমরা কিন্তু কোনও কথা বলছি না। সেই জায়গায় আমরা বিরাট উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কতটা ভাবি, চিন্তা করি? আমরা তো বলে থাকি দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। আমরা কি এই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানবিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি? উন্নয়নের সঙ্গে সভ্যতাকে তাল মিলিয়ে চালাতে পারছি? তাহলে আমরা উন্নয়ন বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছি? শুধু কি রাস্তাঘাট, ইমারত, ব্রিজ তৈরিকে উন্নয়ন বলি।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে আইনটি প্রধানমন্ত্রী পাস করেছেন, কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবে তারা সে আইনটি বাস্তবায়ন করছে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছিলেন কোনও কোটা থাকবে না। সেটার কি কোনও দলিল লিখিত প্রমাণ আছে? তবে প্রতিবন্ধী আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন? প্রধানমন্ত্রী যখন আইনটি পাস করেছিলেন তার কোনও বাস্তবায়ন কিন্তু আমরা দেখি নাই। তবে যখন কোটা বাতিলের কথা বললেন, তখন কিন্তু আস্তে আস্তে কোটা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :