সাইফুর রহমান : শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অরণ্যঘেরা একটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে তাদের ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরিতে আবস্থিত এই ‘জাবদা বাতাদ’ নামের এই গ্রামটি সীমান্ত বেড়া থেকে মাত্র ৮শ মিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামের বাসিন্দারা এর আগেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল এবং গুলির আঘাতে নিহত এবং আহত হয়েছেন বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে গোলাগুলি তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইয়ন
আলম দীন নামের এক বাসিন্দা জানান, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতি এমনই রয়েছে, কখনো আমাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নয়তো কেউ আহত-নিহত হয়েছে, নয়তো গবাদি পশু মারা গেছে। তিনি আভিযোগ করেন, সম্প্রতি তার ঘরের টিনের চালে ১২০ মিলিমিটারের মর্টার শেল আঘাত হেনেছে। ঘরের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সৌভাগ্যক্রমে ঘরে থাকা তার স্ত্রী-সন্তান বেঁচে যান বলেও জানান তিনি। দোদু নামে আরেক বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা জানান, তিনি ২০০৩ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেলের হামলায় পা হারিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে এই চুক্তি লঙ্ঘন করায় সব সময় আতঙ্কে থাকেন তারা। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষায় উরি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার নির্মাণেরও দাবি জানান তারা।
এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ এনে বুধবার পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার গৌরব আহলুওয়ালিয়াকে তলব করেছে পাকিস্তান। এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনার মর্টারশেলের আঘাতে ৫০ বছরের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং আরো ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। যদিও ভারত পাকিস্তানকে বার বার ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :