আসিফুজ্জামান পৃথিল : বিক্ষোভকালীন এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে আবারো পুশিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জকড়ায় হংকং এর বিক্ষোভকারীরা। এরপরই হংকং পুলিশ সরকারের কাছে কারফিউ জারির অনুরোধ করে। তারা বলছে এ ছাড়া বিক্ষোভ দমনের আর কোনো উপায় নেই। সিএনএন, ইয়ন নিউজ
বুধবার রাত থেকে এশিয়ার অর্থনৈতিক হাবটির রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা আগুন লাগিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তা বন্ধ করে দেন। লোকানপাট ভাঙচুর করেন। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনও এসময় ভাঙচুরের শিকার হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভের বিষয়ে একজন বিক্ষোভকারী অ্যালেক্স চ্যান বলেন, ‘আমার ধারেকাছে যেখানেই বিক্ষোভ হোক, আমি যাবো। আমি খুব সাধারণ এক কারণে আজ রাতে বাইরে এসেছি। আপনারা এক কিশোরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেছেন। এই বিক্ষোভ চলবে। কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’
এদিকে, পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছেন এক ইন্দোনেশিয়ান সাংবাদিক। রোববার দায়িত্ব পালন করছিলেন ভেবি মেঘা ইন্দাহ। এসময় একটি রবার বুলেট হিসেবে তার নিরাপত্তা চশমায় আঘাত করে। তার আইনজীবিরা জানিয়েছেন এসময় চশমা ভেঙে তার বাম চোখে ঢুকে পরে। রোববার এখ নপর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে হংকং-এ। এই বিক্ষোভের সময় ২৬৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩০ পুলিশ সহ আহত হন শতাধিক।
আপনার মতামত লিখুন :