বাশার নূরু : বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের এক অনির্ধারিত বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন।গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিলের নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের নেত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতারা আওয়ামী লীগের আগামী কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাবেন। দলের তৃণমূল পর্যায়ে কমিটিতে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী না ঢুকতে পারে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা সতর্ক থাকতে বলেছেন।নতুন কমিটিতে যেন পরগাছা আগাছা স্থান না পায় সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের সম্মেলন করতে হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই। দলীয় নেতাদের মধ্যে যারা অপরাধম‚লক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যে অভিযান চলছে, তা চলবে। তোমরা কাউকে প্রশ্রয় দেবে না। এরা অনেকেই আমাদের বিভিন্ন সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে। অপকর্ম করে আমাদের সব অর্জন নষ্ট করে দিচ্ছে। অপকর্মে জড়িত এমন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করবে, তোমরা কেউ কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নেতাকে নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে নেত্রী জানিয়েছেন, অভিযান চলমান থাকবে। যারা অপরাধ করেছে, তাদের কোনোভাবেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এনামুল হক শামীম, মৃণাল কান্তি দাশ, ড. হাছান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আজমত উল্লাহ খান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :