শাহীন খন্দকার : ভারতে ইলিশ রফতানির সংবাদে পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আমদানি বন্ধ থাকায় সেখানকার বাসিন্দারা এ রুপালি ইলিশের জন্য অপেক্ষা করছেন দীর্ঘ ৭ বছর। কলকাতার সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজারগুলোর একটি মধ্য-কলকাতার মানিকতলার বাজার। শহরের মানুষের বিশ্বাস, এ বাজারে যে কোনো নতুন পণ্য সবার আগে পাওয়া যায়।
তাই দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাচঁশত টন রুপালি ইলিশ রফতানির ঘোষণার পরই মানিকতলার এ বাজারে ঢুঁ মারছেন অনেকে।তেমনি একজন ক্রেতা জানান, ইলিশের আসল জায়গা পদ্মা। তার টেস্ট বা সাইজও থাকে বড় ও ভালো। খেতেও মজা। বিক্রেতারা বলছেন, গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত বাজারের প্রবেশ করেনি পদ্মার ইলিশ। দীর্ঘ দিন আমদানি বন্ধ থাকায় ইলিশের জন্য স্থানীয়দের অপেক্ষা এখন তুঙ্গে।সূত্র : যমুনা টিভি
এদিকে কলকাতার এক বিক্রেতা বলেন, ইলিশ এখনো আসেনি। ওখানকার লোকেরাই খেতে পায় না, আর এখানেই বা কী আসবে? ওখানে যা দাম, তার চেয়েও চার ৫শ’ টাকা বেশি দাম পড়বে এখানে। আমরা সবাই শুনেছি ইলিশ মাছ আসবে কিন্তু বাজারে তো এসে পাচ্ছি না।বাংলাদেশ থেকে একতরফাভাবে একজনকে ইলিশ আমদানির সুযোগ দেয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ পশ্চিমঙ্গ রাজ্যের ইলিশ আমাদানিকারক সংস্থা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নালিশ জানাতে তারা রাজ্য মৎসমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সংস্থাটির সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস সময় টিভিতে টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতে ইলিশের এ চালানের আমদানির সুযোগ পেয়েছেন নাজ ইন্টেক্স ইন্ডিয়া লিমিটেড একটি মাছ আমদানি-রফতানিকারক সংস্থা।
এদিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশ রফতানির প্রথম চালান যায়নি ভারতে। দুগার্পূজা উপলক্ষে এ ইলিশ রফতানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার প্রথম চালানে বেনাপোল স্থলবন্দরে ৮টি ট্রাকে ৩০ টন ইলিশ পৌঁছেছে।
তবে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পাচঁশত টন ইলিশের সব চালান রফপ্তানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ধরা হয়েছে ৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫১০ টাকা। এদিকে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ নিজ দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :