রাশিদ রিয়াজ : বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্বে সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সংঘাত। আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উদ্বোধনী বক্তব্যের সময় গরহাজির রইলেন। তবে জয়শঙ্কর ওই সম্মেলন ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে অবশ্য সেখানে পৌঁছান কুরেশি। তারপরেই শাহ মেহমুদ কুরেশি ঘোষণা করেন যে তার দেশ কাশ্মীর-এর অবরুদ্ধ অবস্থা স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত ‘ভারতের সঙ্গে কোনও সম্মেলনে একসঙ্গে যোগ দেবে না, জড়িত থাকবে না’। পিটিআই
সার্কের ওই বৈঠকের পরে এস জয়শঙ্কর টুইট করেছেন, ‘আমাদের সামনে প্রকৃতঅর্থেই কেবল সুযোগ হাতছাড়া করাই নয়, ইচ্ছাকৃত বেশ কিছু বাধাও রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদকে সমস্ত রূপে নির্মূল করা কেবল পূর্ববর্তী শর্তই নয় এটা আবশ্যিক। আমাদের নিজেদের অঞ্চল নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য কেবল ফলপ্রসূ সহযোগিতার প্রয়োজন’।
গত ৫ আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই তা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই ইস্যুটি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর গরম করলেও অন্য দেশগুলির থেকে সেভাবে কোনও সমর্থন মেলেনি। ইমরান বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি হতাশ...তারা মোদীর উপর কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করছেন না। আমরা যদিও ক্রমাগত এই চাপ দিতেই থাকবো।
আপনার মতামত লিখুন :