নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র আগমন উপলক্ষে রোববার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে ওই নেতা উপস্থিত হলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরী ওরফে কুটি চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। আমাদের সময়

নিজ দলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগে স্থানীয় সময় রোববার রাত আড়াইটায় নিউইয়র্ক পুলিশ তাদের আটক করে। আটকের সময় এমদাদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের অনেকেই জ্যাকসন হাইটসের রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নানা কর্মকাণ্ড ও অনুষ্ঠান বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন তিনি।

নিউইয়র্ক পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে (৪৪) মারধর করেন ইমদাদ চৌধুরী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন ওয়ালি হোসেন।

সেই ঘটনার জেরে আজ ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরীকে আটক করা হয়। একই ঘটনায় আরও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে কেন মারধর করেছেন ইমদাদ সেই প্রশ্নে জানা গেছে, আওয়ামী লীগে পদ-পদবী দেবেন লোভ দেখিয়ে একশ্রেণির নেতারা নগদ অর্থ পকেটে ভরছেন এমন অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওয়ালী হোসেন। ওই স্ট্যাটাস দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় তার লোকজন। পরে ইমদাদ চৌধুরী ও তার লোকজন তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন ওয়ালি হোসেন।

ইমদাদের আটকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি এনাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ব্যস্ত আমরা। এখন এসবে মন দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’