শিমুল মাহমুদ : নতুন নেতাদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশের দ্বিতীয় দিনেই ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত ছাত্রদলের নেতারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তির রয়েছেন। তবে হামলায় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত ও ৮ জনের অবস্থা গুরুতর বলে দাবি করেছে সংগঠনের নেতারা।
ছাত্রদলের ওপর এই হামলা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
সোমবার দুপুরে এ হামলার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালের আহতদের দেখতে যান ছাত্রদলের নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এরপর ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের নেতারে। বিক্ষোভ শেষে সংবাদ সম্মেলন ন্যাক্কারজনক এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিতে গ্রেফতারের দাবি জানান সাধারণ সম্পাদক শ্যামল।একি সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শ্যামল বলেন, ‘অতর্কিতভাবে বিনা উসকানিতে তারা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।এতে আমাদের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছে ৭-৮ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ দিতেও বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিতের নির্দেশে হামলা চালানো হয়েছে।এ হামলা সরাসরি সঞ্জিতের নির্দেশে করা হয়েছে।এজন্য আমরা ছাত্রদল তার গ্রেফতার দাবি করছি।’
এসময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনুক ইসলাম শ্রাবণ, মামুন খানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদলের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু ফয়সাল জিহাদ বলেন, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজের পা ভেঙে যাওয়াই তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, ফিরোজ, মাসুম, মাহবুব, শাহীন, কামরুল, মাহফুজ,সজল সহ ১৫ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তিন সদস্য আহত তিন সাংবাদিক হচ্ছেন, আনিসুর রহমান, আফসার মুন্না এবং রাহাতুল ইসলাম রাফি।পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্টুডেন্ট জার্নাল, বিজনেস বাংলাদেশ এবং প্রতিদিনের সংবাদ এ তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরে গেলে ঢাবির ছাত্রলীগের সভাপতি সন্দীপ চদ্র দাসের এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার নেতা জিসান আহমেদ বলেন, গতকালের মতো আজো আমরা মধুর কেন্টিনে যাই। সেখানে সমস্ত টেবিল দখল করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকায় আমার হাকিম চত্বরে এসে দাঁড়ায়।সেখানেও কিছু মোটর সাইকেলে দাঁড় করিয়ে দিয়ে আমাদের বলা হয় এখানে থাকা যাবে না। এরপরে আমরা টিএসসির দিকে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালায়।
আপনার মতামত লিখুন :