শিউলী আক্তার : বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফর্মে থাকা মানে রেকর্ড বুকে নাম লেখানো। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ২৬ রান করলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০০ রান ও বল হাতে মাত্র ১ উইকেট নিতে পারলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩৫০ উইকেটের মালিক হতেন তিনি। গতকাল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট ও বল হাতে সমান পারফরমেন্স করে এই অর্জন করে ফেলেন টাইগার অলরাউন্ডার। সূত্র : ক্রিকইনফো ওয়েবসাইড
সাকিবের আগে ১৫০০ রান করা একমাত্র বাংলাদেশি তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ওপেনার ১৫০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে খেলেছেন ৭১ ইনিংস। ১৬১৩ রান নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রানের মালিকও তিনি। ১৫০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে সাকিবকে খেলতে হয়েছে ৭৬ ইনিংস। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের প্রথম তি-টোয়েন্টি ম্যাচেই অভিষেক সাকিব আল হাসানের।
এদিকে সবমিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নামের পাশে ৩৪৯ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন সাকিব। বল হাতে নিয়ে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে এলবির ফাঁদে পেলে রেকর্ডে নাম বসান এই অলরাউন্ডার। বিশ্বে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন সাকিব। তার চাইতে বেশি উইকেত আছে কেবল তিনজনের, তারা হলেন ডোয়াইন ব্রাভো, লাসিথ মালিঙ্গা ও সুনীল নারাইন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি স্বীকৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ২৫৮ টি।
আপনার মতামত লিখুন :