মো . তৌহিদ এলাহী : শেষ পর্যন্ত ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ মিললো না। সমাপ্ত হলো স্যাটালাইট ‘চন্দ্রযান-২’ এর চন্দ্রাভিযান। চাঁদে সফট ল্যান্ড করতে যেয়ে শেষ মুহূর্তে খেঁই হারিয়ে ফেলে ‘বিক্রম’। চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকতে ইসরোর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।
গত ৭ সেপ্টেম্বর লান্ড করার পরবর্তী ১৪ দিন ছিলো বিক্রমের মিশনের সময়সীমা। কিন্তু এরই মধ্যে আবারো বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি ইসরো। শনিবার ইসরোর একথা জানালেন চেয়ারম্যান কে শিভান।
কে শিভান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটার ভালই কাজ করছে। ওই অর্বিটারে আটটি যন্ত্র রয়েছে। প্রত্যেকটি ঠিক ভাবে কাজ করছে, যা তার করার কথা। কিন্তু আমরা ল্যান্ডারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি।''
তিনি বলেন, চন্দ্রযান-২ মিশন ৯৮ শতাংশ সফল ‘‘দু'টি বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলছি চন্দ্রযান-২ ৯৮ শতাংশ সফল। এক, বিজ্ঞান এবং অন্যটা হল প্রযুক্তি প্রদর্শন। প্রযুক্তি প্রদর্শনে সাফল্যের শতকরা হার পুরোপুরি।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বোঝার চেষ্টা করছি ল্যান্ডারের কী হয়েছে। এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের পরের অগ্রাধিকার গগনযান মিশন।''
এ পর্যন্ত চাঁদে সফলভাবে ল্যান্ডিং সম্পন্ন করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিন। ভারতের অভিযান সফল হলে তারা হবে চতুর্থ সফল অভিযান সম্পন্নকারী দেশ।
ইসরো জানিয়েছিলো বিক্রমের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে চাঁদে বিক্রম নিজস্বভাবে শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে না। সূর্যের আলো না থাকার ফলে ল্যান্ডারের পক্ষে নিজে থেকে শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব নয়। এছাড়া চাঁদে রাতের নেমে যায় -২০০ ডিগ্রিতে। ফলে ল্যান্ডারের যন্ত্রপাতি জমে যায়।
এসকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইসরোর পক্ষে এবার চাঁদ জয় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । তবে ভারতের পক্ষ থেকে শেষ হচ্ছেনা চন্দ্রাভিযান । এমন কথাই জানালেন কে শিভান।
সংবাদ সম্মেলনে কে শিভান জানালেন ইসরোর নতুন মিশনের কথা । এবার তৈরি হচ্ছে ‘গগনযান’। প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০২০ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে ‘গগনযান ’। ‘চন্দ্রযান-২’ মিশনের ব্যর্থতাকে পুঁজি করে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পাঠানো হবে ‘গগনযান ’। টিই/কেএ
আপনার মতামত লিখুন :