সুজন কৈরী : রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। অন্য ৪ হলেন হাফিজুল ইসলাম, মো. হারুন, আনোয়ার হোসেন ও লিটন মিয়া। ক্লাবটি থেকে এক হাজার পিস (সাত প্যাকেট) হলুদ রঙের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, বিদেশি কয়েন এবং ৫৭২টি প্লেয়িং কার্ড সেট জব্দ করা হয়েছে। জব্দ হওয়া পিস্তলটি অবৈধ।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজমের নেতৃত্বে ক্লাবটিতে অভিযান চলে।
অভিযান শেষে ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ক্রীড়া সংগঠনের আড়ালে রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ও বারের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, এরই অংশ হিসেবে কলাবাগান ক্লাবে অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু জুয়া খেলার কয়েন, আমেরিকার তৈরি ৫৭২ সেট প্লেয়িং কার্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে হলুদ রঙের ভিন্ন ধরনের ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো প্রচলিত ইয়াবা থেকে আলাদা ধরনের। এর কোনো গন্ধ নেই। অস্ত্র ও ইয়াবাগুলো ক্লাবটির সভাপতি সফিকুল আলমের অফিস কক্ষে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে এক সময় ক্লাবটিতে ক্যাসিনো চলতো বলে আলামত পেয়েছি। ক্যাসিনো চালানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিদেশি কয়েন, স্কোরবোর্ড ও প্লে কার্ড রয়েছে। আমরা ধারণা করছি পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কøাব থেকে ক্যাসিনোর মূল সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কর্নেল আশিক বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে। আটকদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, এটা ওপেন সিক্রেট। এটি মনে হয় সবাই জানেন।
অভিযান শুরুর আগে শুক্রবার দুপুরে সফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র্যাব। পরে বিকেলে ক্লাবটির আশপাশ ঘিরে ফেলেন র্যাব সদস্যরা। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সফিকুলকে নিয়ে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :