শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীরের গ্রামগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাথর না ছুড়ে দেয়া হচ্ছে চা, চিন্তায় ভারতের গোয়েন্দারা

আসিফুজ্জামান পৃথিল : কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে গেলে বরাবরই বড় ধরণের প্রতিরোধের মুখে পরেছে ভারতের সেনাবাহিনী। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা কখনই ভারতের সরকারি বাহিনীগুলোকে মেনে নেয়নি। কিন্তু সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের পর শ্রীনগরের মতো বড় শহরগুলোতে যেখানে প্রবল প্রতিবাদ হচ্ছে, সেখানে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মোটামুটি অভ্যর্থনাই পাচ্ছেন। এমনকি তাদের দেয়া হচ্ছে চা-বিস্কুটও! এটিকে প্রবল সন্দেহের দৃষ্টিতেই দেখছেন ভারতের গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, এটি হতে পারে নতুন কোনো কেশৈল । দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার

উদাহরণ হিসেবে সা¤প্রতিক দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সাম্প্রতিক সিআইডি রিপোর্টে। একটি ঘটনা বারমুল্লার সোপোরের। সোপোরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নিবাস। এই এলাকায় হিজবুল মুজাহিদিনের প্রভাব রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। স¤প্রতি সেই সোপোরেরই ডাঙ্গেরপোরা গ্রামে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী ও সেনার যৌথ বাহিনী। রিপোর্টের বক্তব্য, ‘তিন ঘণ্টা চিরুনি অভিযানের পরেও জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। অভিযান শেষ হওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনীকে চা-বিস্কুট ও খাবার খাওয়ান স্থানীয়রা। অথচ এরাই আগে পাথর ছুড়েছন গ্রামে অভিযান চালাতে আসা সিআরপি জওয়ানদের উপরে। কাছের একটি সিআরপি ছাউনির জওয়ানেরা গত দুবছর ধরে বারবার পাথরের মুখে পড়েছেন।’

কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ ও কড়াকড়ি শুরুর আগে দক্ষিণ কাশ্মীরে, বিশেষত পুলওয়ামায় বিক্ষিপ্ত ভাবে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বাহিনীর। রিপোর্টের দ্বিতীয় ঘটনাটি পুলওয়ামারই তহব এলাকার। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এখানে স্থানীয়দের পাথর ছুড়তে বারণ করেছে জঙ্গিরাই! মঙ্গলবার তহবে সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছাউনিতে পাথর হামলা হয়। বুধবার মোটরবাইকে চড়ে হাজির হয় কিছু জঙ্গি। গ্রামের মুরুব্বিদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বলে, যুব স¤প্রদায়কে সেনা ছাউনিতে পাথর ছুড়তে বারণ করা হোক। কেউ যেন রাস্তা অবরোধও না-করে। এক মাসে পুলওয়ামার অন্তত ১৩ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁরা জঙ্গি দলেনাম লিখিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়