শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে পুলিশি অভিযানের ভয়ে বন্ধ রয়েছে জুয়ার আসরগুলো

রাজু চৌধুরী : চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠা সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্লাবগুলোতে জুয়ার আসর বসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহাবুবর রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই পুলিশি অভিযানের আশঙ্কায় নগরীর হালিশহর আবাহনী ক্লাব, সিআরবি মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব ও সদরঘাটসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব ও বার বন্ধ দেখা যায়।

জুয়ার আসর বসার অভিযোগ উঠা অন্যতম ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, ফ্রেন্ডস ক্লাব ও আকবর শাহ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ক্লাব। নির্দেশনার বিষয়ে সিএমপি সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে সব জুয়ার আসর ক্লাব বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি খোলা থাকার খবর পাওয়া যায় তাহলে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হালিশহরের জে ব্লকের আবাহনী ক্লাবটিতে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতার মদদ রয়েছে। এ ক্লাবের জুয়ার আসরের লেনদেন কোনো দিন কোটি টাকা পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় ক্যাসিনোতে অভিযানের পর চট্টগ্রামেও ভয় দেখা দেয়। এছাড়া বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধ করার নির্দেশনা আসলে সে ভয় আরও গভীর হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবাহনী ক্লাবের গেইটে ক্লাবের কর্মীদের দেখা যায় বেশ তড়িগড়ি করে লোকদের বের করে দিচ্ছে। জানা যায়, নামে ক্রীড়া ক্লাব হলেও এর ভেতর নেই কোনো ক্রীড়া সামগ্রী। মূলত এখানে চলছে বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন আর জুয়া খেলা। প্রতিদিন এমনিভাবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব কার্যক্রম চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে, আবাহনী ক্লাব চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালেহ আহমেদ দীঘল নাম উঠে আসে। তার বাসাও একই এলাকায় বলে জানান তিনি। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঐ যুবলীগ নেতার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

একইভাবে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বায়েজীদের আমিন কলোনি এলাকার আশপাশে অন্তত ছয়টি স্থানে জুয়ার আসর বসে। এছাড়া আমিন কলোনির মাঠ এলাকায় টেক্সটাইল জিএম বাংলো পাহাড়ের উপর, শান্তিনগর কলোনির এক বাসায় জুয়ার আসর বসে বলেও স্থানীয়রা তথ্য দিয়েছেন। এদিকে বিআরটিসি সংলগ্ন জামতলা বস্তি, ষোলশহর রেলস্টেশন ও জিআরপি থানা সংলগ্ন এলাকায় অন্তত ১৫টি দোকানে জুয়া ও মাদকের আসর বসে বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরজুড়ে এ ধরনের অর্ধশতাধিক স্পটে জুয়ার আসর বসছে; এসব স্পটের নেতৃত্বে থাকছেন ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গ সংগঠনের পদবীধারী কিছু ব্যক্তি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়