শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রলীগ আছে ছাত্রলীগেই

খালেদ মুহিউদ্দীন : ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে বদলের সপ্তাহ না পেরোতেই পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি ছাত্রলীগ নেতাদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুই সহকারী প্রক্টরও উপস্থিতি ছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরাই ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই হামলা চালিয়েছে। তারা নারী আন্দোলনকারীদের লাঞ্ছিতও করেছে। অবশ্য সাদ্দাম এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, এটি ‘দু’দল শিক্ষার্থীর মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা’। নিকট ও খানিক দূর অতীতের অভিজ্ঞতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। ছাত্রলীগের কেউ ‘অ্যাকশনে’ গেলে যে তারা দাঁড়িয়ে থাকবেন এই সত্যের মধ্যে ইদানীং আর নতুনের নুন নেই, নেই সংবাদমূল্য।

কিন্তু এতোবড় চাঁদাবাজির কথা জানাজানির লজ্জার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ যাচ্ছে, আমাদের আশা ছিলো নিজেদের পাঁক থেকে টেনে তুলতে বা পুরনো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে তারা অনেক সিরিয়াস হবেন। কিন্তু মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ আছে ছাত্রলীগেই। মাঠের রাজনীতির জন্য ময়দানের দখল রাখার জন্য আওয়ামী লীগের হয়তো এখনো ছাত্রলীগের দরকার আছে।আন্দোলন করতে বা নস্যাৎ করে দিতে তরুণ কর্মীরা নিশ্চয়ই একটি প্রয়োজনীয় শক্তি।আবার মাথার উপর বড় দল থাকলে ছাত্রনেতাদের হয়তো উপাচার্য বা কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আট-নয় অঙ্কের ঈদের সালামি মিলে। আমার কিন্তু মনে হয় দু’পক্ষেরই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। প্রথমে ছাত্রদের কথায় আসি। দশ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে বলে ছাত্রলীগ এখন যতো বড় আর যতো জনাকীর্ণ, অল্প কয়েকজন বাদে অন্যদের দুয়েকটি পিঠ চাপড়ানি বা ঠা-া বিরিয়ানি ছাড়া আর কিছু পাওয়ার নেই। সামনের দুই-এক বছরে ছাত্রলীগ করা তরুণ-তরুণী আরও বাড়বে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঈদের সালামির অঙ্ক বড় হলেও ভাগ কমবে, বিরিয়ানির প্যাকেট আরও ছোট বা ঠা-া হয়ে আসবে। তাই সময়টা এভাবে ইনভেস্ট করবেন কিনা তরুণ বন্ধুরা ভেবে দেখতে পারেন। আর আওয়ামী লীগও আর কতোদিন ছাত্রলীগের দায় নেবে? ছাত্রদের এই সংগঠন তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে আর কেন জরুরি? নিজেদের, দলের বা দেশের যেরকম উন্নয়নই করতে চাওয়া হোক না কেন, এতোদিনে নিশ্চয়ই কর্তাব্যক্তিরা বুঝে গেছেন, ঘরের শত্রু কী ভীষণ! লেখক : প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়