মোহাম্মদ মাসুদ : আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রভাব এখনই দেশের স্থানীয় বাজারে পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। তারা বলছে, ৬০ দিনের তেলের মজুদ থাকায় দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। তবে দামের অস্থিতিশীলতা দীর্ঘমেয়াদি হলে আমদানি মূল্য বেড়ে যাবে দাবি বিশ্লেষকদের। চ্যানেল আই
বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদিআরব। বিশ্ববাজারে প্রতিদিন ৭০ লাখের অধিক ব্যারেল তেল সরবরাহ করে। আরামকোর তেল ক্ষেত্রে হামলার পর দেশটির উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব বাজারে। বেড়েছে জ্বালানী তেলের দাম।
তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বাংলাদেশও। বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্বের চাহিদার মাত্র ৪ ভাগ আমদানি হয় আরামকো থেকে। যার যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। তাই বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতার প্রভাব দেশের বাজারে পড়বে না ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের যাই হোক না কেনো আমরা একটি নির্দিষ্ট মূল্যে ভোক্তাদের তেল সরবরাহ করে থাকি। দীর্ঘ ৩ বছরে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি এবং এ মুহুর্তে দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তিনি আরো বলেন, কোনো কারণে আরামকো দাম বৃদ্ধি করলে আমরা তাদের কাছ থেকে তেল কিনবো না। অ্যাডনোব থেকে নেবো।
তবে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারকে ঘিরে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাই সরবরাহে ঘাটতি হলে ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়ার আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা আক্তার বলেন, যেহেতু এই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও তেল আমদানি করে। সেহেতু প্রত্যেকের চাহিদার ওপর একটা প্রভাব পড়বে। যদি এটা প্রলম্বিত হয়, তাহলে দামের ওপর চাপ পড়বে। আমদানি মূল্য বেড়ে যাবে। আমদানি মূল্য বাড়লে বাজারের ওপর প্রভাব পড়বে। সম্পাদনা : আক্তারুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :