শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খ্যাতির খাঁচা থেকে মুক্তি চান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলা ভাষাটা জানা থাকলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হয়তো আনমনে গাইতেন, ‘এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে...’। কোন খাঁচা ভাঙতে চান পর্তুগিজ যুবরাজ? খ্যাতির খাঁচা! বিখ্যাত হওয়ার যেমন অনেক সুবিধা আছে, তেমনি জ্বালাও কম নয়। সেই জ্বালা এখন হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন রোনালদো। খ্যাতি তার জীবনটাকে ভীষণ একঘেয়ে ও বিরক্তিকর করে তুলেছে। আর দশজনের মতো অবসরে সন্তানদের নিয়ে পার্কে হাঁটতে যেতে পারেন না পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। গেলেই ভক্তদের উৎপাতে তুলকালাম বেধে যায়।

খ্যাতির বিড়ম্বনা এড়াতে একটি গ-ির মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখতে হয়। এই বন্দি জীবনে যেন হাঁপিয়ে উঠেছেন রোনালদো। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে তাই খ্যাতির খাঁচা থেকে মুক্তি চান গত দেড় দশক ধরে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকা রোনালদো। সম্প্রতি ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ নামের একটি টিভি অনুষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেয়া কয়েক পর্বের বিশাল সাক্ষাৎকারে রোনালদোর ব্যক্তি জীবনের অনেক অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে।

বুধবার আইটিভিতে প্রচারিত সেই সাক্ষৎকারের তৃতীয় পর্বে খ্যাতির বিড়ম্বনা নিয়ে আক্ষেপ ঝড়েছে রোনালদোর কণ্ঠে, ‘রোনাদো হওয়াটা খুবই একঘেয়ে। এর একটা দিক খুবই আকর্ষণীয়। বিখ্যাত হওয়ায় পত্রিকার প্রথম পাতা ও টিভিতে প্রতিদিন নিজেকে দেখা যায়। কিন্তু ১৫ বছর ধরে এর মধ্যদিয়ে যাওয়ার পর এখন আমার কিছু ব্যক্তিগত গোপনীয়তা দরকার। আমার জীবন থেকে যা হারিয়ে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে আমি পার্কে পর্যন্ত যেতে পারি না। যদি যাই, মানুষ এমনভাবে ঘিরে ধরে যে আমার বাচ্চারা আমার বান্ধবী এবং আমি নিজেও নার্ভাস হয়ে যাই। এই জীবন খুবই বিরক্তিকর। আমি আবার মুক্ত জীবনে ফিরে যেতে চাই।

মুক্ত জীবনে ফিরে যেতে চাইলেও জয় ও সাফল্য নেশার মতো আচ্ছন্ন করে রেখেছে রোনালদোকে, জয় ও সাফল্য পেতে আমি সব সময় মরিয়া থাকি। এটা নেশার মতো। আমি রেকর্ড তাড়া করি না, রেকর্ড আমাকে তাড়া করে। প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে যদি আপনি অনুপ্রণিত না হন, তবে থেমে যাওয়া ভালো।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকেও ছাড়িয়ে যেতে চান জুভেন্টাস তারকা। তবে মেসিকে কখনই নিজের শত্রু মনে করেন না রোনালদো, আরও বেশি ব্যালন ডি’অর পাওয়া উচিত ছিল আমার। অন্তত সাত-আটটি। মেসির ওপরে থাকতে এটি দরকার। আমি মনে করি, আমি এর যোগ্য। মেসি ও আমি বন্ধু নই। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। ১৫ বছর ধরে একই মঞ্চ ভাগাভাগি করছি আমরা। আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পরস্পরকে আমরা অনুপ্রাণিত করেছি। মেসি ফুটবল ইতিহাসের অংশ। সে যদি প্রথম স্থানে থাকে তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে আমাকেও ইতিহাসে রাখতে হবে। সূত্র, গোলডটকম. যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়