লিহান লিমা: বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নিয়ে সুইডিশ জলবায়ু অধিকার কর্মী গ্রিতা থানবার্গ (১৬) মার্কিন আইনপ্রণতাদের বলেন, ‘আমি চাই আপনারা আমার নয়, বিজ্ঞানীদের কথা শুনুন। এখন সময় জেগে ওঠার, কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।’ এই সময় গ্রিতা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। ডেইলি মেইল, ডয়েচে ভেলে
শুনানির শুরুতে গ্রিতা বলেন,‘২০১৮ সালে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার কথা বলা হয়েছিলো। এই সময়টা স্বপ্ন দেখার নয়, জেগে ওঠার।’ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের চিন্তুা ভাবনা নিয়ে গ্রিতাসহ তিন জন তরুণ জলবায়ু অধিকার কর্মীকে আমন্ত্রণ করে মার্কিন কংগ্রেস। গ্রিতা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ও শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন। গ্রিতা বলেন, আপনারাই একমাত্র দেশ যারা কিনা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে এসেছেন এবং বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছেন যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খারাপ।’
কংগ্রেসের শুনানির পূর্বে গত সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করেন গ্রিতা। ওবামা তাকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা এডভোকেট’ বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া থানবার্গ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘অ্যাম্বাসেডর অব কনসিয়েন্স’ পুরস্কারও লাভ করেন।
২০১৮ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো স্কুল বর্জন করে সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে জলবায়ু ইস্যুতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান গ্রিতা। তার পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ আন্দোলনকে জোরদার করে, এদিন সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা স্কুল বর্জন করে জলবায়ুর সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ এর ডাক দিয়েছেন গ্রিতা। শনিবার থানবার্গ ৫০০ তরুণ জলবায়ু অধিকারকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে জাতিসংঘের ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিটে যোগ দেবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ইউএন ক্লাইমেন্ট অ্যাকশন সামিটে ভাষণ দেবেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :