শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:০২ সকাল
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে জোরালো তৎপরতার নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক : নাইট স্টার, নিউ আইকন, ডিসকো বয়েজ, লাড়া দে, ফিফটিন, ব্ল্যাক রোজ ও ক্যাসল বয়েজসহ সারা দেশের বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতায় চিন্তিত সরকার। এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে জোরালো তৎপরতা শুরু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে কিশোর গ্যাং কালচারের যাত্রা শুরু হয়।

মূলত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, পার্টি করা, হর্ন বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে মোটর বা কার রেসিং করা, খেলার মাঠ নিয়ন্ত্রণ করা, দেয়ালে চিকা মেরে নিজেদের পাওয়ার বা অবস্থান জানান দেয়া, এমনকি মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘিরে গড়ে ওঠেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। রাজধানীর বাড়ি, অফিস ও সরকারি স্থাপনার দেয়াল লক্ষ্য করলেও এদের অস্তিত্ব দেখা যায়। বিশেষ কায়দায় বিভিন্ন গ্যাং গ্রুপের নাম লেখা রয়েছে। পাল্টাপাল্টি হুমকি দিয়ে দেয়ালে লেখা রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপের স্লোগান। বর্তমান ফেসবুক কালচারে তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়। ওই সব পেজে গ্রুপের সদস্যরা অশ্লীল ভাষায় তথ্য আদান-প্রদান করে। কেউ কেউ হত্যার মতো ভয়ানক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং কালচার ঢাকা শহরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় রয়েছে অর্ধ শতাধিক কিশোর গ্যাং গ্রুপ। চট্টগ্রাম শহরে রয়েছে অন্তত ছয়টি গ্যাং গ্রুপ। মাদক, ডিজে পার্টি ও চুরি-ছিনতাই নিয়ে ব্যস্ত থাকে এই গ্যাংয়ের কিশোররা। এর জের ধরেই চট্টগ্রাম কলেজিয়েট হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফারকে হত্যা করা হয়। একইভাবে ওই বছরের জানুয়ারিতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ দিতে হয় খুলনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শেখ ফাওমিদ তানভীর রাজিমকে। খুলনা শহরে কিশোরদের অন্তত সাতটি গ্যাং দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরমধ্যে ভয়ঙ্কর গ্যাংগুলো হচ্ছে স্টার বয়েজ, হিরো বয়েজ, ডেঞ্জার বয়েজ, গোল্ডেন বয়েজ ও টিপসি। সিলেট শহরেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে কিশোরদের সাত-আটটি গ্যাং।

দামি মোটরসাইকেলে করে শহরে ঘুরে বেড়ানো, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদকসেবনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ঢাকা শহরের বাইরের এসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের আবির্ভাব হয়েছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট সজাগ আছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করবো, ছেলেমেয়েরা কে কী করছে, লক্ষ্য রাখুন। কিশোর গ্যাংয়ে কেউ যেন সম্পৃক্ত হতে না পারে সজাগ থাকুন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরই ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এ হীন কালচারের শেকড় উপড়ে ফেলার বিকল্প নেই। এরপর বেশ কয়েকটি গ্রুপকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, পাড়া-মহল্লাভিত্তিক কিশোর গ্যাং গ্রুপের তালিকা তৈরি করছেন তারা। এসব তালিকা তৈরির পর কিশোর গ্যাং গ্রুপ নির্মূলে কাজ শুরু করবেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়