শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরাইলে হয় আমার ডানপন্থী নাহলে আরব প্রভাবিত বিপদজনক সরকার বসবে ক্ষমতায়, বললেন নেতানিয়াহু

রাশিদ রিয়াজ : দ্বিতীয় দফায় সাধারণ নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজর্ন করতে পারে নি ইসরাইলের কোনো দল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজও ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেননি । তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে ইসরাইলে? নেতানিয়াহু পরিস্কার বলে দিয়েছেন হয় আমার ডানপন্থী নাহলে আরব প্রভাবিত বিপদজনক সরকার বসবে তার দেশের ক্ষমতায়। টাইমস অব ইসরাইল/ হারেৎজ

গত এপ্রিলে প্রথম দফা ভোটে ৩৬ আসন পেয়েছিল নেতানিয়াহুর দল। সেবার লিবারম্যানকে দলে টানতে পারেননি টানা চতুর্থবারের এই প্রধানমন্ত্রী। গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি করায় একে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপস’ অ্যাখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর জোট ত্যাগ করেন কট্টরপন্থী ইহুদি নেতা লিবারম্যান। ফলে লিবারম্যানের ৯ আসনই জোট সরকার গঠনে নেতানিয়াহুর একমাত্র চাবি।

বেনিকে সমর্থন দিয়েছে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (৫) ও লেবার (৬)। পার্লামেন্টে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল জয়েন্ট আরব লিস্ট (১২)। আরব পার্টিগুলো ঐতিহ্যগতভাবে কোন দলকে সমর্থন করে না। তবে তারা নেতানিয়াহুকে হঠাতে বেনিকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে ইসরাইলের সামনে এখন আরও দুটি বিকল্প রয়েছে। এর একটি হল লিকুদ, ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি এবং সম্ভব হলে লিবারম্যানের ‘ইসরায়েল বেইতেনু’কে নিয়ে একটি ঐক্যের সরকার গঠন করা।

বুধবার সকালে লিবারম্যান বলেছেন, লিকুদ ও ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির মধ্যে সমঝোতায় কোনো সরকার হলেই কেবল তিনি তাতে সমর্থন দেবেন। তবে লিকুদ পার্টির সঙ্গে কাজ করবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বেনি। আরেকটি বিকল্প হল- প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন রাজি থাকলে তৃতীয় দফায় সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯২ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে দুই বড় দলই ৩২টি করে আসন পেয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইহুদিবাদী লিকুদ পার্টির জোটগত আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৫৬। বেনির ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির জোটগত আসন হচ্ছে ৪৩। ফলে ঐতিহ্যগতভাবেই সরকার গঠন করতে পারছে না কোনো দলই।

এএফপি জানায়, লিকুদ পার্টির ক্ষেত্রে অবশ্য একটা সুযোগ রয়েছে, যদি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডো লিবারম্যানের কট্টর ইহুদিবাদী দল ‘ইসরায়েল বেইতেনু’কে দলে ভেড়াতে পারেন নেতানিয়াহু। ৯টি আসন পাচ্ছে দলটি। ফলে জোট সরকার গঠনে বরাবরের মতো এবারও তিনিই মূলনায়কে পরিণত হয়েছেন। কট্টর ইহুদিবাদী এই নেতার হাতেই এখন সরকারের চাবিকাঠি।

ক্ষমতাসীন জোটে থাকা জাতীয়তাবাদী ইয়ামিনা ৭, দুটি কট্টরপন্থী ইহুদিবাদী দল শাস ও ইউনাইটেড তোরা ৮ ও ৯টি আসন পেয়েছে।

ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা লিকুদ পার্টির নেতানিয়াহু রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলে দখলকৃত পশ্চিমতীরের নতুন নতুন এলাকায় ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মধ্যপন্থী গান্টজকে ইহুদি বসতি বিস্তৃতির পক্ষে থাকতে দেখা না গেলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট নয়। তবে নেতানিয়াহুর মতো তিনিও জেরুজালেমের বিভক্তির বিপক্ষে। ইসরাইল সমগ্র জেরুজালেমকেই তাদের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়