শিউলী আক্তার : ত্রিদেশীয় সিরিজের আগের ম্যাচের আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হেরেছে বাংলাদেশ। ফাইনাল নিশ্চিত করতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সাকিবরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।উদ্ভোধনী ওভারের ৪ বলে ব্রেন্ডন টেইলরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জন্য ব্রেক থ্রু এনে দেন সাইফউদ্দিন। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন অধিনায়ক সাকিব। তিনিও তৃতীয় বলে রেগিস চাকাভাকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলীয়নের পথ ধরান। ইনিংসের চতুর্থ ওভার করতে শফিউলের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন এই পেসার। শন উইলিয়ামসকে ফেরান তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬ রান। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও টিনোটেন্ডা মুতোম্বোজি ক্রিজে আছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উদ্ভোধনী জুটি লিটন দাস ও নাজমুল হাসান শান্ত শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন। এই জুটি মাত্র ৪ ওভার ৫ বল খেলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ১১ রান করে কাইল জার্ভিসের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম উইকেটর পতনের পর ৬ রান যোগ হলে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এমফুফুর বলে মাদজিভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। যাওয়ার আগে ২২ বলে মোকাবেলা করে ৩৮ রান করেন। যার মধ্যে ছিলো ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার।
প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও রানের দেখা পাননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১০ রান করে তিনিও ফিরে যান। ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হলে ব্যাটিং বিপর্যে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বরাবরের মতো দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। যদিও সাম্প্রদিক সময় থেকে ফর্মে ছিলো না এই জুটি। তাদের ফর্মে ফেরার অপেক্ষায় ছিলো বাংলাদেশ। অবশেষে চট্টগ্রামের সাগরিকায় ফিরে এই জুটির ফর্ম। স্কোর বোর্ডে ৭৮ রান যোগ করেন তারা।
দলীয় ১৪৩ রানে ৪র্থ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ৩২ রান করে ফেরেন মুশফিক। ৫ম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিতে নামেন প্রথম ম্যাচে দলকে জেতানোর নায়ক আফিফ। কিন্তু তিনি এই ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৭ রান করে ফেরেন।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ অর্ধশত করার পর ৬২ রান সাঁজঘরে ফিরে যান। তার যাওয়ার পরের বলেই আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দেক ফিরে গেলে জার্ভিসের জন্য হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু সেটি আর হতে দেননি সাইফুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে জার্ভিস তিনটি ও এমফুফু দুটি উইকেট তুলে নেন।
আপনার মতামত লিখুন :