বেলাল হোসেন : হঠাৎ রাজনৈতিক আলোচনায় চট্টগ্রামের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। এ আলোচনার প্রধান কারণ হলো দলের তৃণমূলের সম্মেলনে স্থগিতের বিষয়। নগর আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সম্মেলন শুরুর ১২দিন আগে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তা স্থগিত করা হয়। এর সপ্তাহ খানেক পর কেন্দ্রের নির্দেশে স্থগিত করা হয় বিএনপির কমিটিগুলোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। ডিবিসি
চট্টগ্রামে ৪৩টির মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করার উদ্যোগ নেয় নগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলের সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কোন অদৃশ্য শক্তি এ গুলো বন্ধ করে দিল। আমার মনে হয় এটা সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে।
একই অবস্থা নগর বিএনপিতেও। সংগঠন চাঙ্গা করতে তৃণমূলের কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও, কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে কার্যক্রম। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত দলের জন্য হটকারী, সকল রাজনৈতিক দলের জন্যই। এটা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
নগর মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের যে নিষেধাজ্ঞা আছে এটা সাময়িক। অচিরেই উঠে যাবে। আমরা অনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করবো সে পরিস্থিতি আসলে বিএনপির জন্য নেই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :