শিউলী আক্তার : বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সম্পর্ক অনেক বছরের। তবে সেই সম্পর্ক ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে খুবই কম। দুই দলের এই ফরমেটে দেখা হয়েছে মাত্র ১০ বার। স্বাগতিক কিংবা সফরকারী হিসেবে মাত্র এতোবারেই মুখোমুখি হয়েছিলো তারা। তার মধ্যে জয়ের পাল্লা ভারী বাংলাদেশের। কিন্তু এর আগে জিম্বাবুয়ে দল বাংলাদেশ সফরে আসলেও চট্টগ্রামের সাগরিকায় মুখোমুখি হয়নি কখনো। আজকের ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে দুই দলের অভিষেক হতে চলেছে চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
এর আগে দেশের মাটিতে অভিষেক ভেন্যুতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। যদিও দুটি ভেনু তে খেলা হয়েছিলো। একটি খুলনার শেখ আবে নাসের স্টেডিয়াম এবং অপরটি ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।
এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। বাকি সব ভেন্যুর মতো এই মাঠেও অভিষেক দেখায় জয় নিতে মুখিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বাজে অবস্থা হলেও জহুর আহমেদে জয়-পরাজয়ে পাল্লা সমান-সমান। এই মাঠে খেলা ৩৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা বাংলাদেশের ১৭টি জয়ের বিপরীতে রয়েছে ১৭টি হার।
২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলো বাংলাদেশ। খুলনায় আয়োজিত ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালে ঢাকায় দেখা হয়েছিলো দুই দলের। স্বাগতিকরা ম্যাচটি জিতেছিলো ৪ উইকেটের ব্যবধানে। এর মাঝে ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করতে জহুর আহমেদেও জিততে চাইবে সাকিববাহিনী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচটি।
আপনার মতামত লিখুন :