ফাতিমা জান্নাত : রাজধানীর সত্তর থেকে আশি শতাংশ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকে। এখানে গৃহকর দেয় এমন বাড়ির সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার। বাড়িভাড়া বেশি হওয়ায় আইনের কোন প্রয়োগই নেই। একাত্তর টিভি, ১০:০০
১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাড়িভাড়া প্রায় সাড়ে তিন’শ ভাগ বেড়েছে। যে হারে ভাড়া বাড়ে সে হারে মানুষের আয় বাড়ে না।
বাড়ির বাজার মূল্য নির্ধারণ করার পদ্ধতিও বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ১৯৬৪ সালে স্পষ্ট করা আছে। সিটি কর্পোরেশনের বিধান অনুসারে ঢাকায় বাড়ি ভাড়া প্রতি বর্গফুট ৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা। তবে এ আইন থাকলেও বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা এই আইন মানেন না।
আইনে বলা হয়েছে,বাড়িওয়ালা আইন না মানলে জরিমানাসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে। ভাড়া কার্যকরে তারিখ হতে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌলিক চাহিদা বিবেচনায় বাসস্থান না বাড়ালে বাড়ি ভাড়া কমবে না। আর আইনও হতে হবে সহজ।
ভাড়াটিয়াদের ভাষ্য, মোট আয়ের তিন ভাগের একভাগই বাড়িভাড়ায় চলে যায়। এছাড়া বাকি অংশ সংসারে খরচ হয়। প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়ছে। সে তুলনায় আমাদের বেতন বাড়ছে না।
এ সংকট শুধু মধ্যবিত্তের নয় এ সংকট রয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্তেরও। যারা মেসে থাকেন তাদের মধ্যেও রয়েছে বাড়ি ভাড়ার সমস্যা।
মেসের ভাড়া আগে ছিল নয়’শ এখন পনেরো’শ টাকা। মানুষ বাড়ায় এমন অবস্থা।
ক্যাবের সভাপতি ড. গোলাম রহমান বলেন, বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। এটিকে মৌলিক অধিকার বিবেচনা করে একটি আইনসঙ্গত আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগ দরকার। এছাড়া যাতে বাসস্থানের সংস্থান যাতে বাড়ে সে জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে এটি আমার প্রত্যাশা করি।
বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ঠেকাতে দ্রুত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিলেন তিনি। সম্পাদনা: কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :