রাশিদ রিয়াজ : ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি টুইটে বলেছেন, “এটা স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সরকার ফারুক আবদুল্লাজীর মতো জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরিয়ে শূন্যস্থান তৈরি করতে চাইছে, যা পূরণ হবে জঙ্গিদের দ্বারা”। ভারতের বিজেপি সরকার ফারুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ এতে তাকে আটক করেছে। রাহুল গান্ধি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মীর থেকে জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। ভারতের বাকি অংশকে মেরুকরণ করতে কাশ্মীরকে রাজনৈতিক যন্ত্র করবে তারা। এনডিটিভি
৮৩ বছর বয়স্ক ফারুক আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক করার সমালোচনা করেন বহু বিরোধী নেতা, এই আইনের মাধ্যমে কোনও বিচার ছাড়াই কাউকে ভারতে দুবছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়। সাধারণত এ আইন ব্যবহার করা হয়, জঙ্গি, জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁডার মতো ঘটনায়। নির্দেশে বলা হয়েছে ফারুক আবদুল্লাহকে সর্বনিম্ন তিনমাস আটক থাকতে হবে। তার শ্রীনগরে তার বাড়িটিকে “জেল” হিসেবে চিহ্নিত হবে।
অর্থাৎ কোনওরকম সরকারি নথি ছাড়াই, এখনও পর্যন্ত গৃহবন্দি রয়েছেন ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ তথা জম্মু ও কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তার বিরুদ্ধে নিয়মাফিক অভিযোগ আনা হয়, তার মুক্তির দাবিতে মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার আবহেই, ৫ আগস্ট থেকে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহসহ শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার অথবা আটক করে রাখা হয়, নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে। ভারতের মূলধারার একজন রাজনীতিবিদ ও প্রথম সাংসদ হিসেবে ফারুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে শাসক বিজেপির কাপুরুষোচিত চিন্তাভাবনা বলে মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গেই সর্বতোভাবে রয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহ। কেন জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে ? এটা বিজেপি সরকারের কাপুরুষোচিত চিন্তাভাবনা, সংবিধান বা ভারত, কারও প্রতিই সম্মানজ্ঞান নেই তাদের”।
আপনার মতামত লিখুন :