শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৮:৪১ সকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৮:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অরক্ষিত হয়ে পড়েছে জন্ম নিবন্ধন সার্ভার, ৩-৫শ টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ

হ্যাপি আক্তার : রক্ষকদের কাছেই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে জন্মনিবন্ধনের অনলাইন সার্ভার। জন্মসনদ প্রতি ৩শ থেকে ৫শ টাকার বিনিময়ে সার্ভারের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করছে সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের কিছু কর্মকর্তা।

পরে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ও ফেরারি আসামিদের জন্মনিবন্ধন করে পাসপোর্ট তৈরি করে দিচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। র‌্যাব বলছে, এই চক্রের অন্যতম সদস্য সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে জন্ম সনদ তৈরি চক্রের ৬ সদস্য ধরা পড়ার পর ফের প্রশ্ন উঠেছে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন সার্ভারের সুরক্ষা নিয়ে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া জানতে পেরেছে র‌্যাব।

প্রথম ধাপে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ নির্ধারিত কম্পিউটারের দোকানদারের কাছে পাঠায় দালালরা। তারপর সেই তথ্যের বিপরীতে জন্মনিবন্ধন কোড নম্বর তৈরি করে দেন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা। আবার কখনো কখনো দোকানদারকে অনলাইন জন্মনিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয় তারা। তখন দোকানদাররাই কোড তৈরি করে নেয়। পরে আসল জন্মনিবন্ধন সনদে থাকা কর্মকর্তার সই, সিল স্ক্যান করে বসিয়ে দিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় বৈধ জন্মসনদ।

জন্ম সনদ তৈরি চক্রের সদস্য আজিম আহমেদ বলে, পাসপোর্টের কাজ করে সে এসএমএস দেয়। আমাদের সাথে আরেক একজন কাজ করে তার নাম ফজলুল করিম। সে সার্ভার নিয়ে কাজ করে। আমি শুধু এসএমএস সেন্ড করি।

আজিম আহমেদ আরো বলে, জেদ্দা এ্যাম্বাসির একজন মোস্তফা কামাল। তার রেফারেন্সে আমি বায়েজীদকে চিনি। মোস্তফা কামাল ফোনে বায়েজীদের কথা জানায় এবং তার সাথে কাজ করতে বলে। সে জানায় কাজ করে কোনো সমস্যা হবে না।

চক্রের সদস্য ফজলুল করিম বলে, মাইনুদ্দিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চাকরি করে। তার সাথে আমার পরিচয় হয়। তারপর থেকে এ কাজ করছি।

এই চক্রের মূলহোতা হিসেবে সৌদি প্রবাসী বায়েজীদ আলমকে চিহ্নিত করেছে র‌্যাব। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা সদস্যদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নাম-ঠিকানা-জন্ম তারিখ পাঠান তিনি। বাংলাদেশ থেকে জন্মসনদ তৈরি করে পাঠানো হয় বায়েজীদের কাছে। তারপর বাংলাদেশি পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে রোহিঙ্গারা। বায়েজীদকে সহায়তা করেন জেদ্দা কনস্যুলেটে আইটি বিভাগে কর্মরত মোস্তফা আলম।

গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের অন্যতম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন। এ বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ধরনের অপরাধে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন মেয়র।

র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ফেরারি আসামিদের জন্মসনদ তৈরিতেও জড়িত চক্রটি। ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন কর্মচারীদের যোগসাজসে তারা এটা করে। ফেরারি, সাজাপ্রাপ্ত আসামিরাও এটার সুযোগ নিয়ে থাকে।

চক্রটির অন্য সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায়া আনতে জন্মসনদ প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠানে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়