খালিদ আহমেদ : রাজধানী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত প্রায় ২৭ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মাদক বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িত তাদের শুরু হয়েছে হৃদকম্পন। ডিএমপির ভাল পুলিশ ও মন্দ পুলিশের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করার পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে ডিএমপির থানা পুলিশের কার্যক্রম। রাজধানীর ৫০ থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি হয়রানিমূলক কার্যক্রমের পরিবর্তে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী কার্যক্রমের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। জনকণ্ঠ
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি’র ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও ডিসিগণের প্রতি পুলিশকে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী করার নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার বা পুলিশের সেবা পেতে কোন আর্থিক লেনদেন হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ যেন পুলিশ ভীতি থেকে বের হয়ে যাতে আসতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গীবাদ, মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ও সৎ-সজ্জন বলে পরিচিত নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রয়োজনে ওসির চেয়ারে বসে ওসিগিরি করব। নতুন পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা ও ভাল আচরণ নিশ্চিত করার এমন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারির পর রাজধানীর ৫০ থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট জোন ডিসিগণের প্রতি নির্দেশনা দেন নতুন পুলিশ কমিশনার। নতুর পুলিশ কমিশনারের কঠোর হুঁশিয়ারির পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
কেএ/এসবি
আপনার মতামত লিখুন :