বেলাল হোসেন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। বিবিসি বাংলা

তবে অতীত ইতিহাস ছাপিয়ে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়তে থাকে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো-ছাত্র বা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এই দলগুলো আসলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তহবিল কীভাবে সংগ্রহ করে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে দলীয় সদস্যদের চাঁদাকেই মূল ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্য মাসিক ২০ টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ১৫ টাকা, জেলা কমিটির সদস্যরা ১০টাকা এবং নিম্নতম কমিটির সদস্যরা মাসিক ৫ টাকা হারে চাঁদা দেবেন।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, চাঁদা ছাড়াও এককালীন অনুদান, সদস্য ফি এবং ছাত্রলীগ প্রকাশিত বিভিন্ন পুস্তিকা বা বই বিক্রি করেও সংগঠনের তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে এই গঠনতন্ত্রে।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার জানান, খসড়া গঠনতন্ত্রে সদস্যদের চাঁদা দিতে হবে এধরণের কোন উল্লেখ নেই। তবে তহবিলে সংগ্রহের ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের উপরই নির্ভর করতে হয়।

ছাত্রদলের একজন কর্মী মানসুরা আলম বলেন, তিনি কখনো চাঁদা দেননি।

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদজানান, দুইভাবে সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে থাকেন তারা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গণ চাঁদা সংগ্রহ, হকার বা ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকেও গণ চাঁদা আদায় করা হয়। ৫ টাকা থেকে শুরু ১০০টাকা পর্যন্ত বা যার যা ইচ্ছা সে হারেই চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত দলের কোন বড় কর্মসূচী বা সম্মেলনকে সামনে রেখে এ ধরণের চাঁদা আদায় করে থাকেন তারা।

আর নিয়মিত চাঁদা নেয়া হয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে। এছাড়া সংগঠনের সাবেক সদস্য যারা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়, এছাড়া দলের কমিটিতে যে সদস্যরা থাকেন তাদের কাছ থেকেও মাসিক হারে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে বলেন মি. মাহমুদ।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী জানান, গণ চাঁদা, সাবেক চাঁদা এবং প্রকাশনা থেকে আয়। তিনি বলেন, ছাত্র চাঁদা বা গণ চাঁদা যা মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। সাবেক সদস্যদের কাছ থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চাঁদা আদায় করা হয়। এর আওতায় রয়েছে শুভানুধ্যায়ী চাঁদা। সংগঠনটির প্রকাশনা থেকে প্রাপ্ত আয় দলীয় তহবিলে জমা হয়।

এদিকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্মকৌশলে উল্লেখিত অর্থব্যবস্থায় বলা হয়েছে এ আন্দোলনের সর্বস্তরে বায়তুল মাল বা অর্থ তহবিল থাকবে। উৎস হলো সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এয়ানত ও এককালীন দান এবং প্রকাশনার মুনাফা। এছাড়া অধস্তন শাখাগুলো নিয়মিতভাবে বায়তুল মাল থেকে নির্ধারিত অংশ ঊর্ধ্বতন শাখায় দিতে বাধ্য থাকবে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন