জান্নাতুল পান্না: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মৌলভীবাজার, নীলফামারিসহ ৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শ্রমিকদের দ্বারা না করিয়ে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ আসে দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে। ওই প্রকল্পের অধীনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বরাদ্দের শর্ত অনুযায়ী কাজ না করিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুদক টিম সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের দুটি কাজ (রাস্তা মেরামত ও খালখনন) খতিয়ে দেখে। সরেজমিন অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। এদিকে নীলফামারীতে রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দকৃত অর্থ এবং ফগার মেশিন ক্রয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রংপুরের ডোমার পৌরসভার অধীনে রাস্তা নির্মাণের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু উক্ত এলাকার রাস্তাটি পূর্ব হতেই পাকা থাকায় নাম মাত্র কাজ করে বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।
অন্যদিকে একই টিম উল্লিখিত পৌরসভায় কম মূল্যে ফগার মেশিন ক্রয় করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসে, মশক নিধনে ৩টি ফগার মেশিন ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করলেও ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মূল্য দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। টিম অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যাবলী সংগ্রহ করে। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যে অধিক মূল্যে বই ক্রয় করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বরিশাল হতে ৩টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :