শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাতীবান্ধায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর শুরুতেই অনিয়ম

নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হত দরিদ্র পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মস‍‍‍‍ূচীর শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই উপজেলার দীঘিরহাট এলাকায় এ কর্মসূচী পরিদর্শন করতে গিয়ে অনিয়ম দেখতে পায় ইউএনও সামিউল আমিন।

জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় বছরে ৫ মাস হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল সরবরাহ করতে খাদ্য বান্ধন নামে একটি কর্মসূচী চালু করেন। ওই কর্মসূচীর আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৭ শত ৬০ টি পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এ চাল সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য ২৫ জন ডিলার নিয়োগ দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতি ডিলার সপ্তাহে ৩ দিন করে সুবিধাভোগীদের মাঝে ওই চাল বিক্রি করবেন।

হাতীবান্ধা উপজেলায় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠানিক ভাবে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের দিনেই ওই উপজেলার দীঘিরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সুবিধাভোগীদের চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে। ৩০ কেজি চালের বিপরীতে ৩ শত টাকা ডিলার আব্দুস ছামাদ গ্রহন করলেও সুবিধাভোগীদের দেয়া হচ্ছে ২৮ কেজি থেকে সাড়ে ২৮ কেজি পর্যন্ত চাল। বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা ফয়সাল আখতার। ইউএনও উপস্থিত হলে চাল ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পায়। এ সময় তিনি সুবিধাভোগীর মধ্যে যারা ওজনের কম পেয়েছেন তাদের ডেকে সঠিক ওজনে চাল মাপ দিয়ে দেন।

চাল ক্রয় করতে আসা সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম, রাশেদুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে ২৮ কেজি থেকে সাড়ে ২৮ কেজি পর্যন্ত।

চাল সরবরাহের ডিলার আব্দুস ছামাদ জানান, তিনি ওজনে কম দেননি। তবে তার ম্যানেজার হাসিবুর রহমান জানান, খাদ্য গুদাম থেকে চাল ওজনে কম আসায় আমরা আধা কেজি করে চাল কম দিচ্ছি।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুবিধাভোগীদের চাল কম দেয়ার সুযোগ নেই। কোনো ডিলার যদি চাল কম দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাল বিক্রি কেন্দ্র গুলো ঘুরে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়