রফিক আহমেদ : সিনেট ও ডাকসু থেকে চাঁদাবাজ শোভন ও রাব্বানীকে বহিষ্কার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রোববার দুপুর ১২টায় ডাকসু ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক এইচ এম রিয়াদ এ কথা জানান।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভ দেবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সৈকত আরিফ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসী বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ডাকসুর যে গৌরবউজ্জল ভূমিকা তা ভুলন্ঠিত করা হয়েছে। ডাকসুর জি এস- কে চাঁদাবাজির দায়ে খোদ তার নিজের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা একইসাথে জানতে পেরেছি ডাকসু নির্বাচনের আগে ঢাবির ভিসি অনেককে চিরকুটের মাধ্যমে ভর্তি করে ডাকসু ইলেকশনের সুযোগ করে দিয়েছেন। উনারা প্রত্যেকেই ঢাবির গৈীরবউজ্জল ইতহাসকে কলঙ্কিত করেছনে। তাই আমরা অবিলম্বে ডাকসু জি এস থেকে গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। একইসাথে ডাকসু ভিসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত চাই।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জি এসকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চাঁদাবাজের অভিযোগে যারা দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তারা ডাকসু ও সিনেটের সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে তাদের ডাকসু ও সিনেটের সকল পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই। একইসাথে আমরা দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নপ্রকল্পে দুর্নীতির যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জি এস গোলাম রাব্বানী করেছেন সে ঘটনায় আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই। দলীয় বিচার দল করবে কি করবে না তা একান্তই তাদের দলীয় ব্যাপার, কিন্তু এসব দুর্নীতির বিচার অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। আর আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পূর্ণরুপে সমর্থন জানাই।
আপনার মতামত লিখুন :