ডেস্ক রিপোর্ট : টেন্ডার হয়েছে ১৪টি মরা গাছ কাটার। সরকারি কোষাগারে ইজারা মূল্যও দেখানো হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। কিন্তু ইজারা গ্রহীতারা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে জীবিত গাছের মৌখিক দ্বিতীয় ইজারা দিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ফলে মরা গাছের পরিবর্তে কেটে নেয়া হয়েছে জীবিত ১৪টি গাছ। সূত্র : বাংলা নিউজ ২৪
সোমবার এ ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের জৈন্তপুর উপজেলায়। মৌখিক দ্বিতীয় ইজারা গ্রহীতা ইউনুছ গংরা নামমাত্র মূল্যে গাছগুলো কেটে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে সিলেটের জৈন্তাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তর থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে জনসাধারণ ও ভবনের ক্ষতি হয় এমন অপ্রয়োজনীয় মরা গাছ কর্তনে টেন্ডার হয়। গাছগুলোর অবস্থান উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে।
সূত্র জানায়, মরা গাছগুলো কর্তনে খাতায়পত্রে সরাসরি নিলাম দেখানো হয় ৫৬ হাজার টাকা। অথচ কতিপয় কর্মকর্তারা ইজারা গ্রহীতার সঙ্গে যোগসাজস করে নামে মাত্র মূল্যে জীবিত গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য সন্ধি করেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌরীন করিমকে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টেন্ডার কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রমেন্দ্র হোম চৌধুরী বলেন, আমি নাম মাত্র কমিটির সদস্য সচিব। যা কিছু হয়েছে সবকিছুই উপজেলা নির্বাহী স্যারের মাধ্যমে হয়েছে, এর বেশি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবনের ক্ষতি হবে মরে যাওয়া এসব গাছ চিহ্নিত করে উন্মোক্ত টেন্ডারে বিক্রি করা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। মরা গাছ রেখে জীবিত গাছ কাটার ঘটনাটি সরেজমিনে এসে দেখেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সম্পাদনা : মহসীন
আপনার মতামত লিখুন :