শরিফুল হাসান : ‘টানা তিনবার সরকারে আছি। অনেকের অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু আমার সেই দুর্দিনের কর্মীদের অবস্থা একই আছে। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেন, তারা সাবধান হয়ে যান, এসব বন্ধ করুন। তা না হলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরও দমন করা হবে।’ ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এই সাহসী উচ্চারণের জন্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখান। যতো বড় নেতাই হোক ছুড়ে ফেলুন, জেলে দিন, শতভাগ সৎ মানুষগুলোকে পুরস্কৃত করুন। দেখবেন দেশ বদলে যাবে। নয় তো দেখবেন লুটপাটের অর্থনীতে সব শেষ। ধন্যবাদ আপনাকে। ফেসবুকে কী বাস্তবে প্রায়ই আমাকে শুনতে হয়, সরকারের নানা বিষয়ে তীব্র সমালোচনকারী এই একইভাবে আপনার উপর এখনো আস্থা রাখি। আস্থা রাখার কারণ একটাই, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আস্থা রাখার কারণ আস্থা রাখার মতো ন্যূনতম আর কোনো নেতাকে দেখি না। আস্থা রাখার কারণ দলের সব নেতা যখন আপনার জন্মদিন ঘটা করে পালন করতে চায় তখন আপনি বলতে পারেন।

এমনকি দলের সাধারণ সম্পাদকও যখন বলেন, যুবলীগ আপনান জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা করেছে, তখন আপনি বলতে পারেন, চাঁদাবাজির টাকা বৈধ করতে মিলাদ মাহফিল করা হয়েছে। নিজের জন্য এমন মিলাদ মাহফিল আপনি চান না। ধন্যবাদ আপনাকে কারণ আপনি বলেছেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা ক্রসফায়ার থেকে বেঁচে গেছে। আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। সদলবলে অস্ত্র নিয়ে ঘোরেন। এসব বন্ধ করতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ, কারণ আপনি বলেছেন, যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে তখন কেউ অস্ত্র নিয়ে বের হয়নি, অস্ত্র উঁচিয়ে প্রতিবাদ করেনি। যখন দলের দুঃসময় ছিলো তখন কেউ অস্ত্র নিয়ে দলের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। এখন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আবারও বলছিÑ দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখান। যতো বড় নেতাই হোক ছুঁড়ে ফেলুন, জেলে দিন। মন্ত্রী, নেতা, আমলা, বিচারপতি, সাংবাদিক, ... ব্যবসায়ী দুর্নীনি যেই করুক ছুঁড়ে ফেলে দিন। জেলে পাঠান। নূন্যতম অসহ্য করবেন না। সংক্ষিপ্ত। ফেসবুক থেকে