বেলাল হোসেন : সোমবার রাতে ডিবিসির সংবাদ সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও অধ্যাপক এবং গবেষক আফসান চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গত সাধারণ নির্বাাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানের অঙ্গীকার ছিলো। নির্বাচন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে বহু সমাবেশে উক্ত বিষয়ে হুশিঁয়ারী উচ্চারণ করতে দেখেছি। সাধারণ মানুষও উন্মুখ দুর্নীতবাজদের কি সাজা হয়। আসলে আমাদের সর্বস্তরেই দুর্নীতি । তাই দুর্নীতি সমাজের প্রানশক্তিকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে।
আফসান চৌধুরী বলেন, আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো দূর্বল। তাই দূর্বল রাজনৈতিক কাঠামো দিয়ে সুষ্ঠু রাজনীতি হতে পারেনা। আওয়ামী লীগ কেন অনেক ক্ষেত্রে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে। এখানেই আমাদের দূর্বল কাঠামোর লক্ষণ। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। ছাত্রলীগে চুরি কে করলো সেটা বড় কথা নয়। চুরিটা যে করার সুযোগ রয়েছে সেটাই বড় প্রশ্ন।
অনুষ্ঠানে আরেকটি বিষয়ে আলেচনা হয়। সেটা হলো ইসির কারণে কী করে রোহিঙ্গারা এনআইডি সংগ্রহে সক্ষম হলো । অবশ্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছাত্রলীগের দুর্নীতি আর ইসির দুর্নীতি দুটোই দুর্নীতি। দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। দুর্নীতি প্রমান হয়ে গেলে তার বিচার হতে হবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় আত্নশুদ্ধির কথা বলতেন।
আফসান চৌধুরী বলেন, সেই কবে ল্যাপটপ হারানো গেছে। উচিত ছিলো সেই ল্যাপটপের কোনো তথ্য ব্যবহার না করা। ইসি অবশ্যই অদক্ষ। আসলে আমাদের দেশে চলছে শাস্তিমুক্ত প্রশাসন।
সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :