শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৭ রাত
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শোভন-রাব্বানী : কী অপরাধ?

মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু : ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে কেন ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হলো তা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) জানানো উচিত। নির্দেশটি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুধু বলেছেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভংগের জন্য এই পদক্ষেপ। ফেসবুক থেকে

এদিকে সংবাদমাধ্যমে জোরে শোরে নানা তথ্য বের হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একাধিকবার গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকরা মিছিল করে দাবি তুলেছেন। এইসব কথাবার্তার মধ্যে রয়েছে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজির মতো অপরাধের বিষয়। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষ থেকে এইসব খবরকে নাকচ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তভাবে নানাজনের নানা অনুমান ও প্রশ্ন প্রকাশ পাচ্ছে। প্রশ্ন করা হচ্ছে, সত্যিই কি চাঁদাবাজির জন্য এই বহিষ্কার, না-কি অন্য কোনো কারণ আছে। অনেক বিস্ফোরক মন্তব্যও করা হচ্ছে।

সংগঠনের সর্বশীর্ষ দুই নেতার শৃঙ্খলা ভংগ নজিরবিহীন ও সংগঠনের জন্য বিরাট ধাক্কা। শৃঙ্খলা ভংগের অভিযোগ থাকলে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিহিত হওয়ার কথা। সেখানে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থন, সাংগঠনিক তদন্ত প্রভৃতি প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতৃসংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তা সংবাদবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিলেই হতো। কিন্তু ব্যবস্থাটি নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। তিনি ছাত্রলীগের অভিবাবক। নিতে পারেন। যেহেতু তিনি নিয়েছেন এবং ঘটনাটি দেশে বড় ইস্যু হয়েছে তাই তা স্বচ্ছভাবে দেশবাসীকে জানানো উচিত। শোভন-রাব্বানী কিভাবে ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভংগ করেছেন তা ছাত্রলীগ বলুক বা অপরাধের মাত্রা যদি তার চেয়ে বেশি হয়, ফৌজদারি বিষয় হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও স্পর্শ করে তাহলে এই সবকিছু উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। না নেওয়া হলে জনমনে অস্বচ্ছতার সন্দেহ ও জল্পনা-কল্পনার সুযোগ থেকে যাবে। সেটা ক্ষতিকর।

গোলাম রাব্বানীর প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনি তরুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্র। অপরাধমূলক কাজের জন্য আপনি নিজের ছাত্র সংগঠনের নেতৃপদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় নৈতিক কারণে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিয়ে সুদৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়