সুজিৎ নন্দী : এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২য় পর্যায়ের ‘বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও চিরুনি অভিযান’ দ্বিতীয় দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৭১৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি খুঁজে পায়। এ ছাড়া ৫ হাজার ২২১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থানে জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী এ সকল স্থান ধ্বংস করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরগণ ‘চিরুনি অভিযান’ সক্রিয়ভাবে তত্বাবধান করছেন।
রোববার শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা চিরুনি অভিযানে এ ২ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ২০ হাজার ৭৬৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৭৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯৯১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থানগুলো ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।
উত্তরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ১টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ‘হাংরি ডাক’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। শাহজাদপুরে ‘কনফিডেন্স টাওয়ারে’ এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বনানীতে নির্মাণাধীন ‘এসেট ডেভেলাপমেন্ট’, ‘আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লি.’ ‘সিগনেচার ডেভেলাপার’ এবং একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়ক দখল করে র্যাম্প তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ‘কার স্পিড’ নামে একটি গাড়ির দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এডিস মশা নির্ম‚লে ডিএনসিসির 'চিরুনি অভিযান' ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :