স্বপন দেব, মৌলভীবাজার : জুড়ী উপজেলার বড়ধামাই গ্রামের জেলি বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে । জেলি কাতার প্রবাসী কাজল মিয়ার স্ত্রী। ২ মাস আগের এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রী শাহিনা জান্নাত অপির (১২) চাচী সুকেদা বেগম আদালতে এ অভিযোগে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্র জানায়, গত ১৮ জুন রাতে অত্মহত্যা করেছে বলে মা জেলি বেগম স্বজনদের মধ্যে প্রচার করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে জেলি বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই গত ১৯ জুন স্কুলছাত্রী অপির মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। জেলি ‘আত্মহত্যায়’ মেয়ে মারা গেছে দাবি করে থানায় ইউডি মামলা করলেও প্রতিবেশীরা দাবি করেন ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ঘটনার রাতে অপকর্মের বিষয়টি প্রবাসে থাকা বাবাকে বলে দেয়ার হুমকি দিলে মা জেলি বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে অপিকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে মারা যায়। পরে মা জেলি বেগম গলায় ওড়না পেছিয়ে বাথরুমের বর্গায় ঝুলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার করেন। অপির শরীরে মারপিটের অসংখ্য দাগ থাকা স্বত্ত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে জেলি বেগমের গভীর সখ্যতা থাকায় তাদের মাধ্যমে থানা পুলিশকে অন্ধকারে রেখে তিনি ময়না তদন্ত ছাড়াই নিষ্পাপ শিশু মেয়ের মরদেহ দাফন করেন।
জুড়ী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, বিজ্ঞ আদালত স্কুলছাত্রী অপির মৃত্যু সংক্রান্ত ইউডি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই তা আদালতে প্রেরণ করেছেন। সম্পাদনা : সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :