রাশিদ রিয়াজ : রাজীব কুমারকে যেভাবে আগলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই দেখে ভারতের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বলেছেন, খুব শিগগিরিই তৃণমূল নেতাদের বাসস্থান হতে চলেছে আলিপুর জেল। তৃণমূলের কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে যেভাবে আগলাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই দেখে আসানসোলের সাংসদের এধরনের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, খুব শিগগিরিই মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বাসস্থান হতে চলেছে কলকাতা আলিপুর জেল। এই প্রসঙ্গে বাবুলের আরও কটাক্ষ, সম্প্রতি তিনি কলকাতা আলিপুর জেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন, পুরো জেলের গায়ে নীল-সাদা রং। তার মতে, মাঝে আঁকার শখ জেগেছিল তৃণমূল শাসকের। সেই ঝোঁকে তিনি এই রং করলেও, বোধহয় বুঝতে পারেননি, এই জেলই তার এবং তার দলের নেতাদের ভবিষ্যতের ঘরবাড়ি হতে চলেছে। কারণ, তাদের একের পর এক দুর্নীতি।
একই সঙ্গে তার আরও দাবি, শুরু থেকেই পুলিশ তথা প্রশাসনকে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি আড়়ালের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে জিততেও তাদের সাহায্যই নিয়েছিলেন তিনি। তাই সিবিআই যখন গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন কমিশনারের কাছে, তিনি তাকে বাঁচাতে ধর্নামঞ্চ তৈরি করেছিলেন। যা যেকোনও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষেই অত্যন্ত বেমানান।
এখানেই থামেননি বাবুল। তিনি আরও বলেন, একের পর এক দুর্নীতির পরে হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোধোহয় হয়। কাটমানি, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। কিন্তু ততক্ষণে তো যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। এভাবেই তিনি দিনের পর দিন শোষণ করেছেন রাজ্যের মানুষকে। কণ্ঠরোধ করেছেন যুবশক্তির।
প্রসঙ্গত, রোববারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, দেশ এখন "সুপার ইমার্জেন্সি" বা জরুরি অবস্থার সম্মুখিন। দেশবাসীর স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। তার বিরুদ্ধে সরব ও সজাগ হতে হবে সবাইকে। এরপরেই বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা জবাবে মমতাকে বিঁধে বলেন, যিনি পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতে ধর্নামঞ্চে বসতে পারেন তাঁর মুখে এই ধরনের কথা কী করে মানায়!
আপনার মতামত লিখুন :