খালিদ আহমেদ : বাজার মুল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি, জাগ দেয়ার ব্যবস্থা না থাকা এবং স্বল্প সময়ে জমিতে বেশি ফসল ফলানোর প্রবণতার কারণে পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চাষিরা। যশোর, নাটোর, মাদারীপুরে পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ তারা। তবে এবছর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি দিনাজপুরের পাট চাষিরা।
দিনাজপুরে এবার ৩৮'শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে কম। তবে এবার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ১৯শ টাকায়।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পাট চাষে কৃষককে আগ্রহী করে তুলতে আগামী বছর পাট চাষিদের প্রণোদনাসহ ভাল বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে এবার মাদারীপুরে পাটের ব্যাপক ফলন হয়েছে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকায়।
এদিকে, যশোরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দিতে পারছেন না চাষিরা। কিছু এলাকায় নদী থাকলেও সেখানে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দেয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, পাটের দাম প্রতিমণ ২ হাজার টাকা হলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।
উত্তরের জেলা নাটোরে পাটের ব্যাপক ফলন হলেও উৎপাদন খরচ অনুসারে দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলো গত তিন অর্থবছরের টাকা এখনো পরিশোধ না করায় এবার ক্রয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরাও হাটে এসে পাট কিনতে পারছেন না।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, নাটোরে এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :