শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল হংকং

মো. তৌহিদ এলাহী : স্বাধীনতার দাবিতে অনড় হংকং ফের  উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে । গত কয়েকমাস ধরে চলে আসা দাবি দাওয়া নিয়ে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জনতার আন্দোলন ।ফলে দাবিকে কেন্দ্র করে ফিরে এসেছে সংঘর্ষ ও সহিংসতা। দাঙ্গা পুলিশ আর বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে হংকং শহর এখন রণক্ষেত্র।

আন্দোলনকারীদের সহিংসতায় পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসগুলো । পেট্রলবোমা আর ইট-পাটকেল ছুড়ছে গণতন্ত্রপন্থীরা। ককটেল ছুড়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন অফিস আদালতে।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস আর জলকামান ব্যবহার করছে পুলিশ। ধাওয়া করছে ঢাল আর লাঠি নিয়ে। কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে রোববারই ফের ভয়াবহ এই চিত্র দেখা যায় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির রাজপথে।

বিক্ষোভকারীরাও চাইছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিদের মতো দেশগুলোর কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে দিতে। এর অংশ হিসেবে রোববার চীনের হংকং নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সমর্থন দাবি করে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা।

টানা ১৫ সপ্তাহে গড়িয়েছে হংকংয়ের চীনবিরোধী বিক্ষোভ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোববার ফের শহরের রাস্তায় রাস্তায় মার্চ করে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ইতিমধ্যেই এ গণবিক্ষোভ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।

এদিন তারা  চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।বিভিন্ন প্লাকার্ড –ফেস্টুনে ভেসে ওঠে স্লোগান , ‘এক দেশ, দুই নীতি এখন মৃত। হংকং স্বাধীন কর।’

যুক্তরাজ্যের পতাকা এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের হংকংয়ের পতাকা নিয়ে কনস্যুলেটের সামনে সমবেত হয় বিক্ষোভকারীরা। ব্রিটিশ সরকারের প্রতি তাদের দাবি, ১৯৮৪ সালের সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণার প্রতি বেইজিং যেন সম্মান প্রদর্শন করে।

ওই ঘোষণায় চীন ‘এক দেশ, দুই নীতি’ শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। এর আওতায় ৫০ বছর হংকংয়ের নাগরিকদের পুঁজিবাদ এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিতে সম্মত হয় বেইজিং।

এদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৪ সালের সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণার বাস্তবায়ন নিশ্চিতে বেইজিংয়ের আইনগত দায়বদ্ধতা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন দৃশ্যত ওই ঐতিহাসিক চুক্তিকে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করছে। চীনের কবল থেকে হংকংয়ের সুরক্ষা নিশ্চিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেরও সহায়তা চেয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

অঞ্চলটির স্বাধীনতা অর্জনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এবং দেশটির পতাকা উড়িয়ে এই আহ্বান জানান বিক্ষুব্ধ অন্দোলনকারীরা।

টিএ/কেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়