শিরোনাম
◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব ◈ তামিম ও রিশাদ ঝড়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেঘনা গ্রুপের ১৫শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ ধামাচাপা

আহমেদ শাহেদ : দেশের শীর্ষ কর ফাঁকিবাজ মেঘনা গ্রুপের অনিয়ম দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ ধামাচাপা পড়ে আছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে। এ প্রসঙ্গে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী বলেন, ‘২০১৪ সালের অক্টোবরে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় তানভীর ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেড় হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানে নেমেছিলো দুদক।’ বাংলাদেশ প্রতিদিন

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এফ মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই দিন বিকাল ৩টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে কর ফাঁকিবাজি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী।

দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল ২০১০ ও ২০১১ সাল পর্যন্ত আমদানি করা গুঁড়া দুধের এলসি, ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিংয়ের রেকর্ডপত্রের কপি জমা দেন। অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আরও রেকর্ডপত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে দুদককে তা সরবরাহ করেননি মোস্তফা কামাল। জানা গেছে, মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তানভীর ফুডস লিমিটেড গুঁড়া দুধ আমদানির আড়ালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে মর্মে তথ্য পেয়েছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, দেশের ৭০ ভাগ গুঁড়া দুধ আমদানি হয় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস থেকে। তানভীর ফুড লিমিটেড প্রতি টন গুঁড়া দুধের বিপরীতে রপ্তানিকারক দেশগুলোয় হুন্ডির মাধ্যমে এক থেকে দেড় হাজার মার্কিন ডলার প্রেরণ করেছে। গুঁড়া দুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের পাশাপাশি মূল্য পরিশোধ দেখিয়ে এই অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার করে।

আমদানিকারক অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে কম মূল্য দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। এভাবে ২০১১ সালের ১১ জুলাই ভ্যালুয়েশন প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে এক টন গুঁড়া দুধ আমদানি করতে একটি সুপরিচিত দুধের ব্র্যান্ড ব্যয় করেছে ৪ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। অথচ একই সময় তানভীর ফুড লিমিটেড ফ্রেশ গুঁড়া দুধ আমদানি করতে খরচ করে মাত্র ২ হাজার ৭০০ ডলার।

অস্ট্রেলিয়ার ইকোভাল ডেইরি ট্রেডের তথ্যানুসারে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রতি টন গুঁড়া দুধের মূল্য উল্লেখ করেছে ৩ হাজার ৭৯০ ডলার। অথচ একই সময় তানভীর ফুড লিমিটেডকে সরবরাহ করা প্রতি টন গুঁড়া দুধের মূল্য নিয়েছে ২ হাজার ৪৮০ ডলার।

অর্থাৎ প্রতি টনে আন্ডার ইনভয়েসিং হয়েছে ১ হাজার ৩১০ ডলার। প্রতি ৫০ টনে ৬৫ হাজার ৫০০ ডলার পাচার করেছে। কম দামে গুঁড়া দুধ এনে উচ্চমূল্যে এ দেশে বিক্রি করছে তানভীর ফুড লিমিটেড। জানা গেছে, ২০০৯ ও ২০১০ সালে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার শুল্ককর থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। ওই দুই বছর বিশ্ববাজারে প্রতি টন গুঁড়া দুধের মূল্য ছিল ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার। এ তথ্য আমলে নিয়ে দুদক বিষয়টির ওপর অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় তলব করা হয় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে।

এএস/এসবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়