শিরোনাম
◈ তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদিকে বাড়ি ছাড়তে হবে: হাইকোর্ট  ◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের  ◈ হলমার্ক মামলায় তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, দেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজউক ◈ সিলেটে পিকআপ-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাবনা থানায় বিয়ের সত্যতা মিলেছে জানালো তদন্ত দল

নিউজ ডেস্ক : রোববার রাত ৮টায় পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ তার বাসভবনে কিথা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের একথা জানান। এর আগে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ নেওয়াজ। বিডি  নিউজ

পাবনা সদরের সাহাপুর যশোদল গ্রামের তিন সন্তানের এক জননীকে গত ২৯ অগাস্ট রাতে একই গ্রামের কয়েকজন যুবক অপহরণ করে এবং আটকে রেখে টানা চারদিন ধরে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলা না নিয়ে ওসি থানায় এক ধর্ষণকারীর সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেন বলে ওই নারীর অভিযোগ। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, সদর উপজেলার দাপুনিয়ায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর মামলা না নিয়ে থানায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।

“তিন সদস্যের তদন্ত দল গত বৃহস্পতিবার থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিটি বিষয় অনুসন্ধান করে ধারাবাহিকভাবে দলবেঁধে ধর্ষণ, ওসির নির্দেশে থানায় বিয়েসহ প্রতিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।”

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক এ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবেন বলে জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের তিন সন্তানের এক জননীকে গত ২৯ অগাস্ট রাতে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে অপহরণ করে এবং আটকে রেখে টানা চারদিন ধরে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাসেলকে আটক করলেও মামলা নথিভুক্ত না করে ওই নারীকে তার সাথে থানা চত্বরে বিয়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালান।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা দায়েরের পর সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে জেলা প্রশাসন আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে। এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার পর জেলা প্রশাসক পরে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবেন।

এ ঘটনায় সদর থানার ওসি ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার এবং উপ-পরিদর্শক ইকারামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় দলীয় দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়