শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:২১ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেসব কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প চরম দুরবস্থার নেপথ্যে

বেলাল হোসেন : বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত-তৈরি পোশাক শিল্প। চারদশক রমরমা বাণিজ্য করা দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত এখন চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। পার্সটুডে

গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে অন্তত ১,৩০০ কারখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও হাতে কাজ না থাকায় সাময়িকভাবে উৎপাদনে নেই আরো অন্তত দেড় হাজার কারখানা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রফতানি আয়ে।

এ প্রসঙ্গে সরকারপন্থি বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি রেডিও তেহরানকে জানান, এ সংকট থেকে উত্তরণের এখনই জরুরি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে কারখানা বন্ধ হয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক, বিশেষ করে নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ছাড়াও মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের এ সদস্য।

বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের দাম না বেড়ে প্রতিনিয়ত কমছে। এ সময়ে প্রধান রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের প্রভাবে দুর্যোগের ঘনঘটা বাজছে রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী দেশের সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাক শিল্পখাতে।ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষের মতে, তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক অসন্তোষ। এ সমস্যাও ততটাও জটিল হতো না যদি শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে পানি ঘোলা করায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ তৎপর না থাকত।

টিআইবি সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকরা সবচেয়ে কম মজুরি পান। বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০১ ডলার, সেখানে ভারতে ১৬০ ডলার, কম্বোডিয়ায় ১৯৭ ডলার, ভিয়েতনামে ১৩৬ ডলার ও ফিলিপাইনে ১৭০ ডলার।

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে আসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মালিকেরা ২৫ হাজার শ্রমিককে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। বন্ড-সুবিধার অপব্যবহার ইস্যুতে ৬৬টি গার্মেন্টস কারখানার একাটি তালিকা বিজিএমইএ’র কাছে পাঠিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড । অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে কাপড় বিক্রিসহ গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের বিষয়ে উভয়পক্ষ পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধের পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব কারখানার বিরুদ্ধে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেটা বিজিএমইএর নিজস্ব টিম দিয়ে গোপনে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়